গরু পাচার মামলায় আগেই মামলা রুজু করেছিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। ইতিমধ্যে এই মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত এনামুল হককে গ্রেফতার করেছে ইডি। এবার সেই মামলাতেই অনুব্রতকেও হেফাজতে নিতে চাইতে পারে সেই কেন্দ্রীয় সংস্থা। অনুব্রত মণ্ডল ও তাঁর দেহরক্ষী সায়গল হোসেনকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই। তবে সূত্রের খবর, দিল্লিতে ইডি-র সদর দফতরের তরফ থেকে প্রতিনিয়ত যোগাযোগ করা হচ্ছে সিবিআই-এর সঙ্গে। এই মামলায় ইডি-র সক্রিয়তা বাড়তে পারে বলে জল্পনা বাড়ছে।
ইডি মূলত আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত মামলার তদন্ত করে থাকে। তাই অনুব্রতর ক্ষেত্রে আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত কোনও তথ্য প্রমাণ সিবিআই-এর হাতে এসেছে কি না, তা ইডি-র তরফে জানতে চাওয়া হয়েছে বলে সূত্রের খবর। জানা যাচ্ছে, এ বিষয়ে সিবিআই আধিকারিকদের সঙ্গে সঙ্গে কথা হয়েছে ইডি-র তদন্তকারীদের। আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত কোনও প্রমাণ হাতে এলেই ইডি হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানাবে বলেই সূত্রের খবর। এখনও পর্যন্ত কোনও আবেদন জমা পড়েনি আদালতে।
২০২০ সালে দিল্লিতে গরু পাচার সংক্রান্ত মামলা রুজু করেছিল ইডি। তাই ওই সংস্থা হেফাজতে নিতে অনুব্রতকে দিল্লি নিয়ে যাওয়া হতে পারে। নিয়ম অনুযায়ী, যদি ইডি হেফাজতে নিতে চায়, সে ক্ষেত্রে প্রথমে সিবিআই আদালতের বিচারককে তা জানাতে হবে। যেহেতু দিল্লির মামলা, তাই সেখানকার ইডি আদালতে অনুমতি নিতে হবে ও অনুমোদন মিললে, সেই সংক্রান্ত নথি সিবিআই আদালতে জমা দিতে হবে। এরপর অনুব্রতকে গ্রেফতার দেখিয়ে দিল্লি নিয়ে যাওয়া যেতে পারে।
বর্তমানে দিল্লিতে তিহার জেলে রয়েছেন গরু পাচার মামলার অন্যতম কিং পিন এনামুল হক। তাঁকে জেরা করে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য এসেছে তদন্তকারীদের হাতে। অন্যদিকে, সিবিআই-এর হাতে গ্রেফতার হওয়া সায়গল হোসেন বর্তমানে রয়েছেন জেল হেফাজতে। তাঁদের দুজনের বয়ান অনেকাংশেই মিলে গিয়েছে বলে সূত্রের খবর। সম্প্রতি সিবিআই-এর তরফে থেকে আদালতে পেশ করা চার্জশিটে স্পষ্ট উল্লেখ করা হয়েছে অনুব্রত মণ্ডলের নাম। গরু পাচারের জন্য অনুব্রতর হয়ে টাকা নিতেন সায়গল, এমনটাই উল্লেখ করা হয়েছে চার্জশিটে। তবে বুধবার অনুব্রতর সিবিআই হেফাজতের শেষে আদালত কী রায় দেয়, সে দিকেই তাকিয়ে রয়েছেন তদন্তকারীরা।
Be the first to comment