কৌশিকী অমাবস্যার দিন চলে গিয়েছিলেন তারাপীঠে। কপালে রক্তবর্ণের তিলক কেটে, ১০৮টি জবার মালা চড়িয়ে বাইরে এসে বলেছিলেন, “মাকে বললাম বিয়াল্লিশে বিয়াল্লিশ করে দাও। মা কিন্তু বলল করে দেব।” কালী পুজোতেও উপোস করে মায়ের কাছে কী প্রার্থনা করবেন তৃণমূলের বীরভূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল তা জানিয়ে দিলেন এ দিন।
বীরভূমে দলীয় কার্য্যালয়ে বহুদিন ধরেই কালী পুজো হয়। এ দিন অনুব্রত জানান, ১৯৮৮ সাল থেকে শুরু হয় পুজো। এ বারও দলের নবনির্মিত দফতরে ঘটা করে কালী পুজো করছেন তিনি। ১৮০ ভরি গয়না দিয়ে সাজানো হয়েছে মা-কে। নিজে হাতে গয়না পরিয়ে দিয়েছেন কেষ্ট মণ্ডল। মুকুট, বাউটি, চূড়, বাজুবন্ধ, নেকলেস সবই রয়েছে গয়নার তালিকায়। গয়নার পরিমাণ নিয়ে রসিকতা করে কেষ্টবাবু বলেন, “মায়ের যা আছে তা-ই মা-কে পরানো হবে। আবার যদি জেলায় একটা মন্ত্রী পাই। আবার দশভরি গয়না হবে মায়ের। দিদিকে বলব আরও দু’চারটে ছোটখাট মন্ত্রী করে দাও।” জানালেন, বছরে একটি দিনই তিনি উপোস করেন। আর সেটা কালী পুজোয়।
কী চাইবেন মায়ের কাছে?
অনুব্রতর উত্তর, “আমি মায়ের কাছে বলব, মা! গোটা বীরভূম জেলাকে ভাল রাখো। পশ্চিমবঙ্গকে ভাল রাখো। হানাহানি বন্ধ করো আর আচ্ছেদিনওয়ালাকে শেষ করো।”
তিনি বঙ্গরাজনীতির নাম হয়ে উঠেছেন গত কয়েক বছরে। তাঁর কথা মানেই খবর। নির্জলা উপোসেও এর কোনও অন্যথা হলো না। জানালেন বিরোধীদের জন্য তিনি রাজভোগ আর পাচন দেওয়ার কামনা করবেন ঠাকুরের কাছে।
কয়েক দিন আগেই বলেছিলেন, পুজোর পর থেকে আচট জমিতে পাচন দেওয়া শুরু করবেন। তৈরি থাকতে বলেছিলেন দলীয় কর্মীদের। এরমধ্যেই অজয়, দামোদর দিয়ে বয়ে গিয়েছে অনেকটা জল। খুন হয়েছেন খয়রাশোলের ব্লক সভাপতি দীপক ঘোষ। সেই খুনের ঘটনায় তৃণমূল আঙুল তুলেছিল বিজেপি-র বিরুদ্ধে। পাল্টা বিজেপি-র দাবি ছিল, কয়লার বখরা নিয়ে গণ্ডগোলেই খুন হয়েছেন দীপক ঘোষ। মোটামুটি দীপাবলীর পর থেকেই লোকসভার প্রস্তুতিতে নেমে পড়বে সব রাজনৈতিক দল। তাই উপোস করে, মা-কে সোনায় মুড়ে দিয়ে অনুব্রত জানিয়ে দিলেন ‘নেক্সট টার্গেট।’
Be the first to comment