বোমাবাজির মূল পাণ্ডা তৃণমূল নেতা। আর দলের জেলা কমিটির সভা থেকে তাঁকেই গ্রেফতার করার নির্দেশ দিলেন তৃণমূলের বীরভূম জেলার সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল।
একই সঙ্গে বিরোধীদের জন্য মুগ-মুসুরের দাওয়াই শুনিয়ে দিলেন তৃণমূলের বীরভূম জেলার সভাপতি। এ দিন সাংগঠনিক সভা শেষ করে বিরোধীদের উদ্দেশে অনুব্রত বলেন, “১৯ তারিখের পর থেকে পাচনের বাড়ি পড়বে। আমি জানি কী ভাবে চাষ করতে হয়। কোথায় মুগ কলাই লাগাতে হয়, কোথায় মুসুর কলাই লাগাতে হয় সব আমার জানা আছে।”
রাজনৈতিক মহলের মতে, বীরভূমে বিরোধী বলতে এখন শুধুই বিজেপি। মাঠে ময়দানে আর কেউ নেই। অনুব্রত ঘনিষ্ঠরা বলেন, “দাদার এই দাওয়াই বিজেপি-র জন্যই। ওরা হাতির পাঁচ পা দেখেছে। সব ব্যবস্থা হবে।” পাল্টা বিজেপি-র এক মুখপাত্র বলেন, “ওঁর উন্নয়নকে টপকেই বিস্ফরণে তৃণমূলের পার্টি অফিসের পাঁচিল উড়ে যাচ্ছে। খয়রাশোলে খুন হচ্ছেন ব্লক সভাপতি। অনুব্রত মণ্ডল আগে নিজের ঘর সামলাক। বিজেপি-কে নিয়ে পরে ভাবলেও চলবে।”
শনিবার রাতে বীরভূমের কাঁকড়তলা থানার কৌথি গ্রামে ব্যাপক সংঘর্ষ হয় শাসক দলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে। অভিযোগ, সরকারি খাতের টাকা নিয়েই দুই গোষ্ঠী সংঘর্ষে নামে। গভীর রাত পর্যন্ত চলে বোমাবাজি। পুলিশ গেলে পুলিশের উপরেও আক্রমণ করা হয় বলে অভিযোগ। দুই মহিলা-সহ শাসক দলের মোট ৯জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। রবিবার ধৃতদের দুবরাজপুর আদালতে তোলা হলে এক দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। কিন্তু লোকে বলে বীরভূমের আসল বিচারক তো অনুব্রতবাবু। আর তিনি এ দিন জানিয়ে দিলেন ওখানকার তৃণমূল নেতা উজ্বল কাদেরিকে গ্রেফতার করতে হবে।
রবিবার ছিল বোলপুরে তৃণমূলের বীরভূম জেলা কমিটির সভা। সেখানেই অনুব্রত বলেন, “ওখানে বোমা মারার নায়ক উজ্বল কাদেরি। ওকে অ্যারেস্ট করিয়ে দে।” যদিও উজ্বল বলেন, তিনি নির্দোষ। তাঁর সম্পর্কে জেলা সভাপতিকে কেউ ভুল বুঝিয়েছে।
Be the first to comment