গরুপাচারের পর এবার কয়লা কেলেঙ্কারি। বোলপুরে অনুব্রত মণ্ডলের বাড়িতে সিবিআই। শেষমেশ ঠাকুর ঘর থেকে খোঁজ মেলে কেষ্টর। ঠাকুরঘরের দরজা প্রথমে ভিতর থেকে বন্ধ ছিল খবর সিবিআইয়ের তরফে। এরপর আটক হন বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি। বাড়ি থেকেই এরপর গ্রেফতার হন কেষ্ট।
সূত্রের খবর, বীরভূম থেকে আসানসোলের উদ্দেশে নিয়ে যাওয়া হয়েছে তাঁকে। আসানসোল আদালতে তোলা হবে। মনে করা হচ্ছে সিবিআই তাঁকে নিজস্ব হেফাজতে নেওয়ার জন্য আদালতে আবেদন করবে। এদিকে, অনুব্রত গ্রেফতার হতেই প্রচুর মানুষের ঢল নামে বীরভূমের রাস্তায়। তাঁরা হয়ত কল্পনাও করতে পারেননি এই ভাবে গ্রেফতার হতে হবে অনুব্রতকে।
ঘড়ির কাঁটায় সকাল সাড়ে ন’টা। সিআরপিএফ জওয়ানরা ঘিরে ফেলেন বোলপুরে অনুব্রত মণ্ডলের বাড়ি। তখনও কেষ্টর বাড়ির প্রত্যেকটা দরজা ছিল ভিতর থেকে বন্ধ। কমলা রঙের লোহার গেটে ভিতের থেকে ঝুলছিল তালা। বাইরে তখনও ঠাঁয় দাঁড়িয়েছিল সিআরপিএফ জওয়ানরা।
এরপর বেলা পৌনে দশটা নাগাদ অনুব্রত মণ্ডলের বাড়ির পাশে গ্যারেজের গেট গিয়ে ভিতরে ঢোকেন সিবিআই-এর আধিকারিক। এই গ্যারেজে বসেই দলীয় কাজকর্ম করে থাকেন অনুব্রতর।
এরপর ঘড়িতে তখন সকাল ১১টা। বাড়ির ভিতরে সিবিআই আধিকারিকরা খোঁজ চালাচ্ছিলেন কেষ্টর। কিন্তু মিলছিল না। শেষমেশ জানতে পারা যায় ঠাকুরঘরের মধ্যে রয়েছেন অনুব্রত মণ্ডল। বাইরে থেকে বন্ধ রয়েছে তালা। এরপর রাখির দিন সকাল এগারোটা নাগাদ ঠাকুরঘর থেকে গ্রেফতার হন বীরভূম তৃণমূল জেলা সভাপতি।
বস্তুত, আঁচটা করা গিয়েছিল মধ্যরাতেই। গতকাল রাত্রিবেলাই বোলপুরে পৌঁছয় সিবিআইয়ের তদন্তকারীদল। আর সকাল হতে না হতেই সিআরপিএফ জওয়ানদের সঙ্গে নিয়ে অনুব্রতের বাড়িতে পৌঁছে যায় সিবিআই আধিকারিকেরা। জওয়ান দিয়ে ঘিরে ফেলা হয় বীরভূল জেলা তৃণমূল সভাপতির বাড়ি। তারপর এ দিন গ্রেফতার হন অনুব্রত।
Be the first to comment