বীরভূমের একাধিক জায়গায় সিবিআই ও ইডির হানা। শান্তিনিকেতনের রতনকুঠি গেস্ট হাউস থেকে দুটি দলে বিভক্ত হয়ে নানুরের বাসাপাড়া ও সিউড়ির দিকে যায় তদন্তকারী অফিসারেরা।
তৃণমূলের জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ আব্দুল করিম খান ও সিউড়ির পাথর ব্যবসায়ী টুলু মণ্ডলের বাড়িতে হানা দেয় তাঁরা। সিউড়ির সুভাষপল্লী ও সাজানোপল্লী এলাকার প্রতিবেশীদের বাড়িতে গিয়ে জিজ্ঞাসা করে টুলু মণ্ডলের সম্পত্তির তল্লাশি করছে ইডির আধিকারিকরা।
অন্যদিকে, বীরভূমের নানুরের সাঁতরা গ্রামে তৃণমূলের জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ আব্দুল করিম খানের বাড়িতেও হানা দেয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার অফিসাররা। গরু পাচার কাণ্ডে এই তল্লাশি অভিযান বলে জানা গিয়েছে।
উল্লেখ্য, এরা দুজনেই তৃণমূল বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের ঘনিষ্ঠ হিসাবেই পরিচিত। এছাড়া সিউড়ির সাজানোপল্লীতে একাধিক জায়গায় ঘোরাফেরা করছে আধিকারিকরা। এরা দুজনেই অনুব্রত মণ্ডলের ঘনিষ্ঠ বলে জানা গিয়েছে।
এছাড়াও আব্দুলের ছেলের বন্ধু মুক্তার শেখের নানুরের বাসাপাড়ার আটকুলে গ্রামে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।
বুধবার সকালে বীরভূমে ইডির এক বিশাল তদন্তকারী দল তল্লাশি অভিযানে যায়। ১৮টি গাড়ি নিয়ে বীরভূমে ১০ থেকে ১২ জন ইডি অফিসার মঙ্গলবার মধ্যরাতে বিশ্বভারতীর রতনকুঠি গেস্ট হাউসে আসেন। বুধবার সকালে বিভিন্ন দলে ভাগ হয়ে জেলার বিভিন্ন প্রান্তে রওনা দেয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সূত্রের খবর, কেন্দ্রীয় বাহিনীর ঘেরাটোপে বিভিন্ন দলে ভাগ হয়ে তল্লাশি অভিযান চালানোর আশঙ্কা রয়েছে।
সূত্রের খবর, ইডির একটি দল মহম্মদ বাজার অন্য একটি দল নতুনহাট বাসাপাড়ার দিকে গিয়েছে। তবে আরও একটি দল বিশ্বভারতীর রতনকুঠি গেস্ট হাউসেই আপাতত রয়েছে।
Be the first to comment