দ্রুত জামিন দিতে হবে গরুপাচার কাণ্ডে ধৃত অনুব্রত মণ্ডলকে। না হলেই মাদক মামলায় ফাঁসবে পরিবার। এই মর্মে হুমকি চিঠি পেয়েছেন আসানসোলের সিবিআই আদালতের বিচারক রাজেশ চক্রবর্তী। কে বা কারা এই চিঠি পাঠিয়েছে তা এখনও স্পষ্ট নয়।
বিচারক বিষয়টি কলকাতা হাই কোর্টের রেজিস্ট্রারকে জানিয়েছে। যদিও বিষয়টিকে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছেন না সিবিআই আদালতের বিচারক। তবে স্পর্শকাতর বিষয় হওয়ায় ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আর্কষণ করেছেন তিনি।
কয়লা ও গরুপাচার মামলার শুনানি চলছে আসানসোলের সিবিআই আদালতে। দুই মামলার একাধিক প্রভাবশালী অভিযুক্তকে ওই আদালতে হাজির করা হচ্ছে। গরুপাচার মামলায় সিবিআইয়ের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছেন অনুব্রতও। তাঁকেও আসানসোলের সিবিআই আদালতের বিচারক রাজেশ চক্রবর্তীর এজলাসে হাজির করছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। ইতিমধ্যে জামিনের আবেদন খারিজ হয়েছে সিবিআই আদালতে। ধোপে টেকেনি অসুস্থতার তত্ত্ব। আগামী ২৪ আগস্ট পর্যন্ত সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারক। এর মাঝেই হুমকি চিঠি পেলেন তিনি।
এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করে সিপিএমের রাজ্যসভার সাংসদ তথা বর্ষীয়ান আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, “এটা একটা ভয়ংকর প্রবণতা। নিম্ন আদালতের একাধিক বিচারককে এভাবে হুমকি দেওয়া হয়। ২০১১ সালের পর থেকে এই প্রবণতা আরও বেড়েছে। এই বিষয়টি এখনই আটকানো না গেলে সাধারণ মানুষের শেষ ভরসাস্থলও নষ্ট হয়ে যাবে।” একই সুর আইনজীবীদের গলাতেও।
প্রসঙ্গত, ১১ আগস্ট বোলপুরের নিচুপট্টির বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার হন অনুব্রত মণ্ডল। তদন্তে অসহযোগিতার অভিযোগে তাঁকে নিজেদের হেফাজতে নেয় সিবিআই। এখনও পর্যন্ত অনুব্রতর ১৭ কোটি টাকার ফিক্সড ডিপোজিটের খোঁজ পাওয়া গিয়েছে। ওই ফিক্সড ডিপোজিট তাঁর স্ত্রী ও মেয়ের নামে রয়েছে। এছাড়া বোলপুরের কালিকাপুরে ৭০ বিঘা জমির উপর ভোলে ব্যোম রাইস মিলের খোঁজও পেয়েছে সিবিআই। যার দলিলেও নাম রয়েছে অনুব্রতর প্রয়াত স্ত্রী ও মেয়ের।
Be the first to comment