অনুব্রত মণ্ডল গরু পাচারের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন কি না, তারই তদন্ত চলছে। আর সেই তদন্তে নেমেই একের পর এক সম্পত্তির হদিশ পাচ্ছেন গোয়েন্দারা। ওই সব সম্পত্তির সঙ্গে পাচারের টাকার কোনও যোগ আছে কি না, সেটা খুঁজে বের করাই মূল্য উদ্দেশ্য তদন্তকারীদের। সিবিআই সূত্রে খবর, অনুব্রতর পরিবার ও তাঁর ঘনিষ্ঠদের নামে থাকা অন্তত ১৬২ টি সম্পত্তির হদিশ পাওয়া গিয়েছে। গত সপ্তাহেই বোলপুরে সাব রেজিস্ট্রারের অফিসে হানা দিয়েছিল সিবিআই। সেখান থেকে জমি বা সম্পত্তি সংক্রান্ত অনেক নথি পান আধিকারিকরা।
অনুব্রত মণ্ডল, তাঁর মেয়ে সুকন্যা মণ্ডল, স্ত্রী ছবি মণ্ডলের নামে একাধিক সম্পত্তি রয়েছে বলে দাবি তদন্তকারীদের। সেই সঙ্গে অনুব্রতর প্রাক্তন দেহরক্ষী সায়গল হোসেন ও অনুব্রতর ছায়াসঙ্গী বলে পরিচিত বিদ্যুৎ বরণ গায়েনের নামে থাকা বেশ কিছু সম্পত্তিরও খোঁজ পেয়েছেন তদন্তকারীরা। আয়ের সঙ্গে সম্পত্তির সঙ্গতি আছে কি না, সেটা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে সূত্রের খবর।
সূত্রের খবর, শুধুমাত্র বোলপুর পুরসভা এলাকার মধ্যেই সুকন্যার নামে রয়েছে অন্তত ১২০ কাঠা জমি, যার দাম কয়েক কোটি টাকা। এ ছাড়া অনুব্রতর নামে বোলপুর এলাকায় ২৪০ কাঠা জমি রয়েছে বলেও জানা গিয়েছে সরকারি নথি থেকে। পাশাপাশি, একাধিক চালকলও রয়েছে সিবিআই রাডারে।
আর অনুব্রতর প্রাক্তন দেহরক্ষী তথা গরু পাচার মামলায় গ্রেফতার হওয়া সায়গল হোসেনের সম্পত্তির হিসেব আগেই সামনে এসেছে। সূত্রের খবর, সায়গলও কয়েক কোটির সম্পত্তির মালিক।
অন্যদিকে, বুধবার সকাল থেকে বোলপুরের ৬ টি জায়গায় হানা দিয়েছে সিবিআই। ইতিমধ্যে আটক করা হয়েছে অনুব্রত ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত কাউন্সিলর বিশ্বজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়কে। বোলপুরের ব্যবসায়ী সুজিত দে ও বিশ্বজ্যোতি ঘনিষ্ঠ পুরসভার কর্মী সুদীপ রায়ের বাড়িতেও চলে তল্লাশি। এ দিন চাটার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট তথা অনুব্রতর ব্যক্তিগত হিসাব রক্ষক মণীশ কোঠারির বাড়িতেও তল্লাশি চালিয়েছে সিবিআই।
Be the first to comment