গরু পাচার মামলায় সিবিআই হেফাজতে অনুব্রত মণ্ডল। আপাতত তাঁর ঠিকানা নিজাম প্যালেস। গ্রেপ্তারির পরদিন কম্যান্ড হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতিকে। সেখানেই প্রায় দু’ঘণ্টা ধরে চলে তাঁর শারীরিক পরীক্ষা নিরীক্ষা।
সূত্রের খবর, হাসপাতাল থেকে নিজাম প্যালেসে নিয়ে যাওয়ার পর জেরা করা হতে পারে অনুব্রতকে।
শ্বাসকষ্ট, বুকে হালকা ব্যথা, স্লিপ অ্যাপনিয়া, মানসিক অবসাদ এবং ফিসচুলার সমস্যা রয়েছে অনুব্রত মণ্ডলের। কম্যান্ড হাসপাতালে তাঁর চিকিৎসায় চার সদস্যের মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করা হয়েছে। মেডিক্যাল বোর্ডে রয়েছেন একজন শল্য চিকিৎসক, একজন কার্ডিওলজিস্ট এবং মেডিসিন বিভাগের চিকিৎসক। শুক্রবার তাঁর রক্তচাপ পরীক্ষা করে দেখা হয়। তাঁর রক্তচাপ ১৪০/৮৮। এক্স রে, ইসিজি, থাইরয়েড, ভিটামিন, কোলেস্টেরল এবং পালমোনারি টেস্ট করা হয় তাঁর। প্রায় দু’ঘণ্টা ধরে শারীরিক পরীক্ষা নিরীক্ষা করা হয় তাঁর।
৬টি গাড়ির কনভয় করে কম্যান্ড হাসপাতাল থেকে নিজাম প্যালেসে নিয়ে আসা হয় তাঁকে। সূত্রের খবর, সন্ধেয় জেরা করা হতে পারে অনুব্রতকে। সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই প্রশ্নমালাও তৈরি করা হয়ে গিয়েছে। গরুপাচারের জন্য কত টাকা পেতেন অনুব্রত? এনামুল হকের থেকে যে টাকা যেত সেটাও কি গরু পাচারের? ইলামবাজারের গরুহাট থেকে পাচার নিয়ে জানতেন তৃণমূল নেতা? এমনই নানা প্রশ্ন করা হতে পারে তাঁকে। সূত্রের খবর, অনুব্রত মণ্ডলের মেয়ে এবং প্রয়াত স্ত্রীর নামে একাধিক সম্পত্তির খোঁজ পাওয়া গিয়েছে। ওই সম্পত্তিগুলির উৎসও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
টানা দশবার তলবের পর গত বৃহস্পতিবার সকালে অনুব্রতর বোলপুরের নিচুপট্টির বাড়িতে হানা দেয় সিবিআই। দোতলার ঘরে কিছুক্ষণ কথাবার্তার পর গ্রেপ্তার করা হয় তাঁকে। কুলটির ইসিএলের গেস্ট হাউসে স্বাস্থ্যপরীক্ষার পর আসানসোলের বিশেষ আদালতে পেশ করা হয় অনুব্রতকে। ১০ দিনের সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক।
আপাতত নিজাম প্যালেসেই রয়েছেন তিনি। খাট এবং কম্বল দেওয়া হয়েছে তাঁকে। প্রথম রাতে হালকা খাবারদাবার খেয়ে ঘুমোন তিনি। সকালে চিনি ছাড়া লিকার চা খান। সময়মতো ওষুধপত্রও দেওয়া হচ্ছে অনুব্রতকে।
Be the first to comment