অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও হাই প্রোফাইল মামলায় বিচারককে হুমকি চিঠি, অন্য মামলায় ‘ফাঁসিয়ে’ দেওয়ার হুঁশিয়ারি। এমন আশঙ্কাজনক ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে মামলাটিই অন্যত্র সরানোর আবেদন জানালেন আইনজীবীদের একাংশ। বিচারকের নিরাপত্তার প্রসঙ্গ তুলে অনুব্রত মণ্ডলের মামলা ভিন রাজ্যে স্থানান্তরের আরজি জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির কাছে চিঠি পাঠালেন আইনজীবীরা। এখন শীর্ষ আদালতের নির্দেশের অপেক্ষা। তারপরই বোঝা যাবে, অনুব্রত মণ্ডলের মামলা কোন আদালতে চলবে।
গরু পাচার মামলায় বীরভূমের তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের বিচার চলছে আসানসোলের বিশেষ সিবিআই আদালতে। একাধিকবার হেভিওয়েট নেতার জামিনের আরজি খারিজ করেছেন বিচারক। অনুব্রত আপাতত রয়েছেন আসানসোল সংশোধনাগারে। তারই মধ্যে গত ২৩ আগস্ট ঘটে যায় অপ্রত্যাশিত ঘটনা। বিচারক রাজেশ চক্রবর্তীকে কেউ বা কারা হুমকি চিঠি দিয়েছে, যার বয়ান – দ্রুত জামিন দিতে হবে গরুপাচার কাণ্ডে ধৃত অনুব্রত মণ্ডলকে। না হলে মাদক মামলায় ফাঁসবে পরিবার। কারা এমন চিঠি দিল, তা নিয়ে এখনও রয়েছে ধোঁয়াশা।
বুধবার অনুব্রত মণ্ডলকে আদালতে পেশ করা হলে তিনি নিজেই বিচারককে জানান, হুমকির চিঠি খবর তিনি টিভিতে দেখেছেন এবং তা নিয়ে উদ্বিগ্ন। বিচারক নিজে যেন এই হুমকি চিঠির প্রেরক কে বা কারা, তার তদন্ত করেন নিজেই। হুমকি চিঠির বিষয়টি বিচারক কলকাতা হাই কোর্টের রেজিস্ট্রারকে জানিয়েছেন। যদিও হুমকিকে বিশেষ গুরুত্ব দিতে নারাজ সিবিআই আদালতের বিচারক। তবে স্পর্শকাতর বিষয় হওয়ায় ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আর্কষণ করেছেন তিনি।তৃণমূল নেতৃত্বের মত, এর পিছনে রয়েছে বিজেপির চক্রান্ত। তৃণমূলের ভাবমূর্তি কালিমালিপ্ত করতেই এই কাজ। কিন্তু এতে বিচারকের নিরাপত্তা নিয়ে আশঙ্কা তৈরি হওয়ায় মামলা অন্যত্র স্থানান্তরের আবেদন জানালেন আইনজীবীদের একাংশ।
এদিকে, অনুব্রত মণ্ডলকে দিল্লিতে নিয়ে গিয়ে জেরার ভাবনা রয়েছে ইডির। গরু পাচার মামলায় কত টাকার লেনদেন হয়েছে, তা জানতে ইডি তাঁকে আলাদা করে জেরা করতে চায়। সেইসঙ্গে তাঁর নিরাপত্তারক্ষী, সিবিআইয়ের জালে ধৃত সায়গল হোসেনকেও জেরার ভাবনা রয়েছে ইডির।
Be the first to comment