গরু পাচার মামলায় অনুব্রত মণ্ডলের রক্ষাকবচের আর্জি খারিজ। অর্থাৎ গরু পাচারকাণ্ডে সিবিআই-এর তলবে যেতেই হবে অনুব্রতকে। শুক্রবার হাইকোর্টের বিচারপতি রাজা শেখর মান্থার এজলাসে মামলাটি ওঠে। তিনি অনুব্রত মণ্ডলের আইনজীবীকে প্রশ্ন করেন, যেহেতু অনুব্রত মূল অভিযুক্তই নন, তাহলে গ্রেফতার হওয়ার অনুমান কেন? সঙ্গে বিচারপতি এও বলেন, “তদন্তকারী সংস্থা কোনও কারণে সমন পাঠালেই আদালত বারবার ঢাল হতে পারেনা। সিবিআই-এর হাত এভাবে বাধা ঠিক নয়।” বিচারপতির পরামর্শ, দরকারে আগাম জামিন চাইতে পারেন অনুব্রত মণ্ডল। অনুব্রত মন্ডল তো এসেছেন কলকাতায়। আদালত প্রাথমিকভাবে মনে করছে না, যে এই অনুমানের কোনও ভিত্তি আছে।
গরু পাচার মামলায় ২৪ এপ্রিল প্রথম নোটিস দেয় সিবিআই। এনামুল হককে গরু পাচার কাণ্ডে সাক্ষী হিসেবে ডাকা হয়। সেসময় হাজিরা এড়িয়ে যান অনুব্রত। তাঁর আইনজীবী জানান, কিডনি ও শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যায় ভূগছেন অনুব্রত। অন্য আরেকটা মামলায় ২০২২ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত রক্ষাকবচ ছিল অনুব্রতর। এরপর কোনও নোটিস আসেনি। ১৪ ফ্রেবরুয়ারি তে হঠাৎ করেই নিজাম প্যালেস গরু পাচার কাণ্ডে ফের ডেকে পাঠায় অনুব্রতকে। হাজিরা এড়ান অনুব্রত। তাঁর আইনজীবী কিশোর দত্ত জানান, পাচার মামলায় তদন্তে সহযোগিতা করতে রাজি তিনি। জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হতে প্রস্তুত। কিন্তু কলকাতায় সিবিআই দফতরে গিয়ে হাজিরা দেওয়া তাঁর পক্ষে সম্ভব নয়, শারীরিক অসুস্থতার জন্য। বোলপুরে বাড়ির কাছাকাছি কিংবা কাছাকাছি কোথাও ডাকা হোক তাঁকে। কিন্তু তারপরও ফের নোটিস। ১৪ মার্চ তাঁর হাজিরা দেওয়ার কথা ছিল।
এদিনের শুনানির শুরুতেই বিচারপতি প্রশ্ন করেন, যেহেতু মূল অভিযুক্ত নন, তাহলে গ্রেফতার হওয়ার অনুমান কেন? তদন্তকারী সংস্থা কিছু কারণে সমন পাঠালেই কোর্ট বারবার ঢাল হতে পারে না। সিবিআই-এর হাত এভাবে বাধা ঠিক নয়। দরকারে আগাম জামিন চাইতে পারেন। অনুব্রত মন্ডল তো এসেছেন কলকাতায়। সিবিআই-এর চেয়ে রাজ্যপুলিশের আচরণ কম কিসে?
এএস জি, এস পি রাজু সিবিআই এর পক্ষ থেকে বলেন, ” আইও ফোন নম্বর থেকে শুরু করে সব পাঠানো হয়েছে। সহযোগিতা করেননি। বলছেন দূরে যেতে পারবেন না। অথচ এসএসকেএমে চিকিৎসা করাতে আসেন। ফেবু থেকে জানা যায়, ওঁ কোথাও যেতে বাদ রাখেন নি।” অনলাইনে জিজ্ঞাসাবাদে এদিন আপত্তি জানায় সিবিআই। এরপরই বিচারপতি অনুব্রত মণ্ডলের রক্ষাকবচের আর্জি খারিজ করে দেন। এবার আদালতে ধাক্কা খেলেন অনুব্রত মণ্ডল।
Be the first to comment