হাইকোর্টে স্বস্তি পেলেন অনুব্রত

Spread the love

অনুব্রত মণ্ডল গ্রেফতার হয়েছেন গরু পাচার মামলায়। কিন্তু, বীরভূম থেকে একের পর এক অভিযোগে নাম জড়িয়েছে অনুব্রতর। জমি দখল বা তোলাবাজির মতো অভিযোগে সামনে এসেছে তৃণমূলের জেলা সভাপতির নাম। এবার সেরকমই একটি মামলায় আপাতত স্বস্তি পেলেন কেষ্ট। পর্যাপ্ত নথি না থাকায় এখনই মামলা শুনবে না হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব ও বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চ।

শুধু অনুব্রত নয়, স্বস্তি পেয়েছে বোলপুর পুরসভাও। অভিযোগ ছিল, বোলপুর পুরসভায় বিল্ডিং প্ল্যান পাশ করানোর জন্য দিতে হত ‘অনুদান’। সেই মামলায় নাম জড়িয়েছিল অনুব্রতর। ঘটনায় সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়েছিলেন মামলাকারীরা। কিন্তু এই মুহূর্তে সেই মামলায় হস্তক্ষেপ করল না হাইকোর্ট। বুধবার ছিল সেই মামলার শুনানি। সিবিআই তদন্তের দাবিকেও এ দিন মান্যতা দেয়নি আদালত।

প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, এই মুহূর্তে পর্যাপ্ত নথি নেই। প্রয়োজনীয় নথির জন্য পুরসভার চেয়ারপার্সনের কাছে মামলাকারীদের আবেদন জানাতে হবে। পুরসভা থেকে নথি সংগ্রহ করতে হবে। তারপর প্রয়োজন হলে মামলাকারীরা ফের আদালতের দ্বারস্থ হতে পারেন। এমনই নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি।

মূল অভিযোগ ছিল বোলপুর পুরসভার বিরুদ্ধে। বোলপুর পুরসভার বর্তমান চেয়ারপার্সন পর্ণা ঘোষ এবং তাঁর স্বামী সুদীপ্ত ঘোষের বিরুদ্ধেই ওই অনুদান নেওয়ার অভিযোগ ওঠে। তবে সেই গোটা চক্রের মাথা হিসেবে অনুব্রত মণ্ডলের নাম উল্লেখ করা হয়। পুরসভার নামে বিল ছাপিয়ে টাকা নেওয়া হত বলে দাবি করেছেন মামলাকারীরা। অভিযোগ, কাটমানি না দেওয়া হলে বাড়ি তৈরির প্ল্যান দেওয়া হত না।

আদালতে অবশ্য পুরসভার তরফে দাবি করা হয়, যে অনুদান নেওয়া হয়েছে তার সব হিসেব রয়েছে পুরসভার খাতায়। কোনও টাকাই অবৈধ ভাবে নেওয়া হয়নি বলে দাবি পুরসভার। আগের শুনানিতে অ্যাডভোকেট জেনারেল সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় দাবি করেন, দুঃস্থ মানুষের উন্নয়নের খাতে এই টাকা খরচ হয়। অনেকে স্বেচ্ছায় টাকা দেন বলেও দাবি পুরসভার।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*