অপরূপাকে ধমক মমতার

Spread the love

সদ্য বিতর্ক মিটেছে তৃণমূলের অন্দরে। প্রথম সারির নেতাদের মধ্যেই অন্তর্দন্দ্ব প্রকট হয়ে উঠেছিল। আর তারপরই দলীয় বৈঠকে সাংসদ অপরূপা পোদ্দারকে ধমক দিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কড়া সুরে বললেন, ‘তোমাকে ফোনে পাওয়া যায় না, আর সংবাদমাধ্যমের সামনে মুখ খুলছ।’ বৃহস্পতিবার কালীঘাটে তৃণমূল সাংসদদের নিয়ে বৈঠকে বসেছিলেন মমতা। আর সেই বৈঠকেই অপরূপাকে তিনি বার্তা দিয়েছেন বলে সূত্রের খবর।

কল্যাণ-অভিষেক সংঘাত প্রকাশ্যে আসার পরই মুখ খুলেছিলেন সাংসদ অপরূপা পোদ্দার। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘ব্যক্তিগত মতামত’ ও ডায়মন্ড হারবার প্রসঙ্গে বিরোধিতা করেছিলেন সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপরই পাল্টা কল্যাণের বিরুদ্ধে সংবাদমাধ্যমের সামনে মুখ খুলেছিলেন অপরূপা পোদ্দার। কটাক্ষ করে তিনি বলেছিলেন, ‘ঘরশত্রু বিভীষণরাই দলের ক্ষতি করে।’ তিনি আরও বলেছিলেন, ‘সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় লোকসভার সাংসদ। তাঁর যদি কোনও মন্তব্য থাকত তবে তা দলের অন্দরে প্রকাশ করা উচিত ছিল। তাঁর পদত্যাগ করা উচিত। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিকল্প তিনি নিজেই। কিন্তু এভাবে যদি ঘরশত্রু বিভীষণ নিয়ে বাস করতে হয় তাহলে দলেরই সমস্যা। এরপরই দলীয় বৈঠকে তাঁকে বার্তা দিলেন খোদ মমতা।

রাজনৈতিক মহলের মতে, শুধু অপরূপাকে নয়, আদতে বিতর্কে যাঁরা মুখ খুলেছিলেন, তাঁদের প্রত্যেককেই কার্যত বার্তা দিলেন মমতা। এ দিনের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন দলের সব সাংসদ। কালীঘাটে মমতার বাড়িতে হাজির ছিলেন সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় ও সুব্রত বক্সি। বাকিরা ভার্চুয়ালি ওই বৈঠকে অংশ নেন। ছিলেন সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ও। তবে, এ দিন কল্যাণকে মমতা কোনও বার্তা দেননি বলেই সূত্রের খবর।

শুধু তাই নয়, এ দিন অপরূপাকে বার্তা দেওয়ার পাশাপাশি সংগঠনে নজর দেওয়ার কথাও বলেছেন দলনেত্রী মমতা। সূত্রের খবর, সংগঠনের কাজকর্মে খুব একটা সন্তুষ্ট হতে পারছেন না তিনি। তাই মুখ্য়মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব সামলানোর পাশাপাশি, সংগঠনের দিকেও নজর দিতে চাইছেন তিনি। সাংসদদের সেই বার্তাই দিয়েছেন এ দিন। জানিয়েছেন, তাঁর হাতে প্রশাসনিক কাজের অনেক চাপ রয়েছে, তবুও সংগঠনে নজর দেবেন তিনি।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*