পিয়ালি আচার্য,
ছবি- প্রশান্ত দাস ও মৈনাক সাউ
ব্যারাকপুর লোকসভা কেন্দ্র। সারা রাজ্যে অন্যতম আকর্ষণীয় কেন্দ্র এটি। রাজ্যে পঞ্চম দফা লোকসভা নির্বাচনে সোমবার মোট সাতটি আসনে নির্বাচন হচ্ছে। কিন্তু সমস্তরকম জল্পনা, সমস্তরকম আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হলো এই ব্যারাকপুর। মনে হচ্ছে যেন শুধু ব্যারাকপুরেই ভোট হচ্ছে। এর কারণটিও নিছক ফেলনা নয়। ব্যারাকপুরে অর্জুন সিং নাকি দীনেশ ত্রিবেদীকে জেতাতো। শিল্পাঞ্চলের একছত্র সম্রাট ছিলেন অর্জুন। ভাটপাড়া পুরসভার চেয়ারম্যান এবং ভাটপাড়া থেকে নির্বাচিত তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়কও ছিলেন তিনি। লোকসভা নির্বাচনের প্রার্থী ঘোষণার আগে অর্জুন আশায় ছিলেন ব্যারাকপুরের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী হবেন তিনি, কিন্তু হননি। খুব স্বাভাবিক কারনেই তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিদায়ী সাংসদ দীনেশ ত্রিবেদীকেই প্রাথী করেন। অর্জুনের গোঁসা হয়, গোঁসা ভাঙানোর চেষ্টা করেন দলনেত্রী। কিন্তু নিজেকে ‘গদ্দার’ প্রমাণ করে অর্জুন যোগ দেয় বিজেপিতে। বিজেপি তাকে ব্যারাকপুরের প্রার্থীও করে।
প্রার্থী হওয়ার পর অর্জুন বলেন, তার মাথায় প্রধানমন্ত্রীর হাত আছে। তিনি নিজের জেতার ব্যাপারে ২০০ শতাংশ নিশ্চিত। কিন্তু গর্জন যতটা, বর্ষণ যে ততটা হচ্ছেনা তা প্রমাণ করে ভাটপাড়া পুরসভা দখল করে তৃণমূল। আজ ৬ মে নির্বাচনের দিন ব্যারাকপুর লোকসভা কেন্দ্রের ৭টি কেন্দ্রে চড়কির মতো ঘুরতে দেখা যায় অর্জুনকে। কখনও তাকে মারার অভিযোগ, কখনও অশান্তির অভিযোগ করেন অর্জুন। যদিও সেই অভিযোগগুলিতে নেই তেমন জোর। বিরস ব্দনে অর্জুন বলেন মানুষ ভোট দিতে পারলে তবে আমি জিতব। বডি ল্যাঙ্গুয়েজে কনফিডেন্সের অভাব। প্রায় ২৪-২৫টা সংবাদমাধ্যমের গাড়ি অর্জুনের পিছন পিছন চলছে। কিন্তু আমরাও তার সঙ্গে ঘুরে এটা বুঝতে পারে যে ব্যারাকপুরে অর্জুন মিথ ভেঙে টুকরো টুকরো হয়ে গেছে।
সে জায়জগায় আত্মবিশ্বাসী দীনেশ ত্রিবেদী বললেন, আমরা জনপ্রতিনিধি, মানুষ আমাদের নির্বাচিত করেন। মানুষের ভোটে জিতব আমরা।
এদিন রোজদিনের যুগ্ম সম্পাদক পিয়ালি আচার্যের মুখোমুখি হয়ে কী বললেন দীনেশ ত্রিবেদী?
শুনুন!
এদিন কী বললেন অর্জুন সিং?
শুনুন!
দেখুন ছবি-
Be the first to comment