গুলি করে মারার চেষ্টা করেছেন জয়েন্ট পুলিশ কমিশনার । রাজ্যপালকে চিঠি দিয়ে অভিযোগ জানালেন ব্যারাকপুরের বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং । চিঠিতে তিনি লিখেছেন, গতকাল সন্ধেয় ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের জয়েন্ট পুলিশ কমিশনার অজয় ঠাকুর 35 জন পুলিশ কর্মীকে নিয়ে তাঁর বাড়ির আশপাশে ঘুরতে থাকেন । নিরাপত্তারক্ষী জিজ্ঞাসা করলে জানানো হয়, নীতু সিং এবং সঞ্জিত সিংকে একটি মামলায় নোটিস দিতে এসেছেন । কিন্তু নোটিস দেখতে চাইলে তা দেখাতে পারেননি ।
চিঠিতে তিনি অভিযোগ করেছেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশেই একাজ করেছেন অজয় ঠাকুর। লেখেন, এভাবে কিছু না বলে একজনকে চিঠি দিতে চলে এলেন জয়েন্ট পুলিশ কমিশনার। তাও আবার ৩৫ জন পুলিশকর্মী নিয়ে। যেখানে একজন মহিলার বিরুদ্ধে নোটিস দেওয়ার কথা, সেখানে একজনও মহিলা পুলিশ উপস্থিত ছিলেন না । ১৬০ নম্বর ধারার কোড অফ ক্রিমিনাল প্রসিডিওরের বিষয়টি উল্লেখ করে তিনি লেখেন, এক্ষেত্রে মহিলা পুলিশের থাকা দরকার ছিল । যদিও ১৮ তারিখ গোয়েন্দা বিভাগের অফিসে নীতু সিংকে যেতে বলা হয়েছে ।
এর পর চিঠিতে তিনি আরও লেখেন, “কী নোটিস দিতে এসেছেন জিজ্ঞাসা করতে অজয় ঠাকুর ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের একজন গোয়েন্দা বিভাগের সাব ইন্সপেক্টরকে তখনই নোটিসটি লিখতে বলেন । আমি সেটা দেখে বিষ্মিত হই । বিশ্বস্ত সূত্রে আমি জানতে পেরেছি, অজয় ঠাকুর ৩৫ জন পুলিশকর্মী ও দু’জন এলাকার লোককে (যাঁরা এলাকায় দুষ্কৃতী হিসেবে পরিচিত) নিয়ে এসেছিলেন আমাকে মারতে । উনি আমার নিরাপত্তারক্ষীর সঙ্গে প্রথমে বচসায় জড়াতেন । তারপর গুলি করে আমাকে ও আমার পরিবারকে মারতেন ।”
অর্জুন সিংয়ের অভিযোগ, দুই স্থানীয় দুষ্কৃতীকে নিয়ে তাঁদের হাতে আগ্নেয়াস্ত্র তুলে দিয়ে তাঁকে মারার চেষ্টা করেছিলেন ব্যারাকপুর কমিশনারেটের জয়েন্ট পুলিশ কমিশনার অজয় ঠাকুর । এমনকী ওই ৩৫ জনের মধ্যে কেউ কেউ আমার বাড়িতে পিছন গেট দিয়েও ঢোকার চেষ্টা করেছিলেন ।
এবিষয়ে তিনি আরও উল্লেখ করেন, যদি সরকারি কাজেই তিনি এসেছিলেন তাহলে গায়ে কেন উর্দি ছিল না ? ১৬০ ধারা অনুযায়ী অপরাধমূলক কাজের জন্য কাউকে নোটিস দিতে এতজন আসা অবাঞ্ছনীয় ।
Be the first to comment