সোমবার বিজেপির রাজ্য সভাপতি অভিযোগ করেছিলেন, বিধানসভা ভোটের ফল প্রকাশের ২৪ ঘণ্টা না পেরতেই ৫ বিজেপি কর্মী খুন হয়েছেন। এনিয়ে রাজ্যপালের কাছেও দরবার করেন তিনি। আজ একপ্রকার দলের বিরুদ্ধেই ক্ষোভ প্রকাশ করলেন বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং। বলেন, আমরা জনপ্রতিনিধিরা যদি মানুষের পাশে দাঁড়াতেই না পারি তাহলে আমাদের ইস্তফা দিয়ে দেওয়া উচিত।
জেলায় জেলায় বিজেপি কর্মীদের উপরে হামলা ও শ্যামনগরে এক বৃদ্ধার মৃত্যুর প্রসঙ্গ টেনে এনে ক্ষোভে ফেটে পড়লেন অর্জুন। তিনি বলেন, রাজ্যজুড়ে বিজেপি সমর্থরা মারা যাচ্ছে। ভোটের ফলাফল প্রকাশ হওয়ার পর হিংসা চারদিকে। আমাদের দলে ১৮ জন সাংসদ রয়েছেন। হাতে ৭৭ জন বিধায়ক। এই অবস্থাতেও আমরা মানুষের পাশে দাঁড়াতে পারছি না। আমার ব্যক্তিগত মত, সাধারণ মানুষকে যদি আমরা নিরাপত্তা দিতে না পারি তাহলে আমাদের জনপ্রতিনিধিদের উচিত ইস্তফা দিয়ে দেওয়া। এরাজ্যে গণতন্ত্র নেই। চারদিকে সন্ত্রাস চলছে।
উল্লেখ্য, সোমবার তৃণমূল-বিজজেপি সংঘর্ষের জেরে শ্যামনগরে মৃত্যু হয়েছে এক বৃদ্ধার। ওই ঘটনায় জগবন্ধু দাস ও কৃষ্ণা দাস নামে ২ তৃণমূল কর্মীকে গ্রেফতার করেছে জগদ্দল থানার পুলিস। ওই ঘটনার দায় এখন তৃণমূলের উপরে চাপাচ্ছে বিজেপি। এনিয়ে তৃণমূলের নবনির্বাচিত প্রার্থী সোমনাথ শ্যাম বলেন তৃণমূলের নাম নিয়ে দলকে কলঙ্কিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। যে পরিবারের লোক মারা গেছে আমার সঙ্গে কথা হয়েছে। আমরা তাদের পাশে আছি। ওখানে একটা ঝামেলা হয়েছিল। তার মাঝে পড়েই ওই মহিলা মাথায় আঘাত পান ও পারে তাঁর মৃত্যু হয়। এর জন্য আমরা আন্তরিক দুঃখিত। ওই পরিবারকে সবরকম সাহায্য করব।
Be the first to comment