নিজ গড়েই বড় ধাক্কা খেলেন ব্যারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিং। বিজেপির তরফে প্রার্থীপদ পেয়েও দলত্যাগ করলেন অর্জুনের ভাইপো সৌরভ সিং, ভগ্নিপতি সুনীল সিং ও তাঁর ছেলে আদিত্য সিং। তিনজনেই বিজেপির তরফে এ বার পুরভোটে প্রার্থীপদ পেয়েছিলেন। কিন্তু বিজেপিতে থেকে কাজ করতে পারছিলেন না বলে অভিযোগ তাঁদের। তাই বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন তাঁরা। খাস অর্জুনের গড়ে এভাবে তাঁরই আত্মীয়দের শাসক শিবিরে যোগদান কার্যত তৃণমূলকে আরও শক্তিশালী করবে বলেই মনে করছেন সংশ্লিষ্ট মহলের একাংশ। যদিও, এই ঘটনায় এখনও অর্জুনের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
সূত্রের খবর, গারুলিয়া পুরসভার ১২ নম্বর ওয়ার্ড, ১৭ নম্বর ও ১৮ নম্বর ওয়ার্ড থেকে যথাক্রমে বিজেপির তরফে প্রার্থী পদ পেয়েছেন আদিত্য, সৌরভ ও সুনীল। কিন্তু, মনোনয়ন জমা দেওয়ার পরেই তিনজনেই প্রার্থীপদ ফিরিয়ে দিলেন তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। তিনজনেই জানিয়েছেন, বিজেপিতে থাকাকালীন তাঁরা কার্যত দলে ব্রাত্য ছিলেন। কাজ করতে পারছিলেন না কেউ। তাই ‘উন্নয়নের স্বার্থে’ তৃণমূলে যোগ দেন সকলে। শনিবার যখন চার পুরনিগমে পুরভোট, তখন ভাটপাড়ায় মহকুমা শাসকের দফতরে যান সুনীল-সৌরভরা। তারপর তৃণমূলের দফতরে গিয়ে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, পার্থ ভৌমিকের উপস্থিতিতে তৃণমূলে যোগ দেন।
সূত্রের খবর, সাম্প্রতিককালে তৃণমূলের সঙ্গে সুনীল সিং যোগাযোগ করা শুরু করেছিলেন। শাসক শিবিরের নানা অনুষ্ঠানেও তাঁকে বিভিন্ন সময়ে দেখা গিয়েছে। এমনকী, সুনীলের শাসকনেতাদের প্রতি ‘নরম মনোভাব’ও নজর এড়ায়নি। ফলে, তাঁর গতিবিধি নিয়ে দলের অন্দরেই জল্পনা শুরু হয়েছিল। অবশেষে শনিবার ত়ৃণমূলে যোগ দেন সুনীল। আরে এতে, তৃণমূলের একাংশ মনে করছেন, ভাটপাড়া-ব্যারাকপুরে চত্বরে অর্জুনের প্রভাব কিছুটা হলেও কমবে। অর্জুনের গড় বলে পরিচিত ভাটপাড়া-ব্যারাকপুর চত্বর একরকম বিজেপির ‘পাকাপোক্ত’ ঘর বলেই পরিচিত। সেখানে ফাটল ধরাতে দীর্ঘদিন তৎপর ছিল তৃণমূল। কিন্তু তা হয়নি। এ বার, অর্জুনের নিকটাত্মীয়দের যোগদানে যে ব্যারাকপুরের বিজেপি সাংসদকে কিছুটা কোণঠাসা করা যাবে , এমনটাই মনে করছে শাসক শিবির। যদিও, এই ঘটনায় এখনও তৃণমূল বা বিজেপির পক্ষ থেকে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওযা যায়নি। প্রতিক্রিয়া দেননি বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিংও।
Be the first to comment