পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ও অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের গ্রেফতারির পর তাঁদের মধ্যে যোগসাজস সংক্রান্ত বেশ কিছু তথ্য কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের হাতে এসেছে। সেখান থেকে স্পষ্ট ইঙ্গিত পাওয়া যায়, অন্তত ২০১২ সাল থেকে তাঁদের মধ্যে যোগাযোগ ছিল। তাঁদের নামে যৌথ মালিকানায় সম্পত্তির খোঁজও পাওয়া গিয়েছে। এরই মধ্যে ফের এক বিস্ফোরক তথ্য ইডির গোয়েন্দাদের হাতে। সূত্রের খবর, পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে ব্ল্যাকমেল করতেন অর্পিতা মুখোপাধ্যায়। রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ বাবুকে ফাঁসিয়ে দেওয়ার হুমকিও নাকি দিতেন এই অর্পিতা। সূত্র মারফত এমনই জানা গিয়েছে।
সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, টাকা রাখলে তার থেকে ৩০ শতাংশ কমিশনের দাবি করতেন অর্পিতা মুখোপাধ্যায়। আর সেই টাকা না দিলে তথ্য প্রকাশ্যে এনে পার্থ বাবুকে ফাঁসিয়ে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হত বলেও খবর। পার্থ বাবুর দেওয়া কমিশনের টাকাতেই অর্পিতা নিজের নামে সম্পত্তি কিনেছিলেন বলে খবর।
ইডি সূত্রে খবর, অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের বাড়ি থেকে যে টাকা উদ্ধার হয়েছে, সেই টাকা রাখার জন্য কমিশন তিনি অর্পিতা। সূত্র মারফত আরও জানা গিয়েছে, ২০১২ সালে নাকি প্রায় ১০ কোটি টাকা নিয়ে উধাও হয়ে গিয়েছিলেন। কারণ ছিল, পার্থ বাবুর সঙ্গে বচসা। অর্পিতাকে ফিরিয়ে আনার জন্য সবরকমভাবে চেষ্টা করেছিলেন পার্থবাবু। শেষ পর্যন্ত অবশ্য অর্পিতাকে ফিরিয়ে আনতে পারেন প্রাক্তন মন্ত্রী। কিন্তু তারপরও আরও একবার আরও বেশি অঙ্কের টাকা নিয়ে মুম্বইয়ে চলে গিয়েছিলেন অর্পিতা। পরে আবারও তাঁকে ফিরিয়ে আনা হয়। সেই সময় নতুন করে অর্পিতার সঙ্গে পার্থ বাবুর একটি চুক্তি হয়। তাতে অর্পিতার কমিশনের অঙ্ক আরও বাড়ানো হয় বলে সূত্রের খবর।
সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, ২০১২ সাল নাগাদ প্রতি লাখ টাকায় ১৫-২০ হাজার টাকা করে কমিশন পেতেন অর্পিতা। পরে ২০১৩-১৪ সাল থেকে কমিশনের টাকার পরিমাণ বাড়তে থাকে।
Be the first to comment