সন্ধে নামলেই তাদের কাজ শুরু হত। পথচারীকে ভুলিয়ে গাড়িতে তুলে সর্বস্ব লুঠ করাই ছিল তাদের পেশা। দলে তারা চারজন। গত তিন মাসে অন্তত ১৫ জনকে নিশানা বানিয়েছে এই চক্র। তদন্তে নেমে দিল্লি-গুরগাঁও এক্সপ্রেসওয়ে থেকে চার জনের ওই দলকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
চারজনই হরিয়ানার বাসিন্দা। তাদের মধ্য়ে তিনজনের বাড়ি মেওয়াতে ও একজনের পালওয়ালে। দু’টি ট্যাক্সিতে পালা করে এই ডাকাতির কাজ চালাত তারা। একজন সাজত ট্যাক্সি চালক, বাকি দু’জন অথবা তিনজন যাত্রী।
সন্ধে নামলেই মোটামুটি শুনসান হয়ে যায় দিল্লি-গুরগাঁও এক্সপ্রেসওয়ে। পুলিশ জানিয়েছে, গাড়ির অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে থাকা কোনও ব্যক্তিকে গন্তব্যে পৌঁছে দেবে বলে ট্যাক্সিতে তুলে নিত। কিছুদূর যাওয়ার পরই মাথায় বন্দুক ঠেকিযে অথবা ছুরি বার করে ভয় দেখিয়ে চলত লুঠপাট। জেরায় তারা জানিয়েছে, অন্তত ১৫ জন যাত্রীকে লুঠ করেছে তারা। তবে, পুলিশের ধারণা সেই সংখ্যাটা আরও বেশি হলেও হতে পারে।
গুরগাঁও থানার পুলিশের শীর্ষ আধিকারিক সামসের সিংহ জানিয়েছেন, চারজনই আগ্নেয়াস্ত্র চালাতে পটু। রীতিমতো প্রশিক্ষণ নিয়েই ডাকাতির কাজে নেমেছে। যাত্রীদের ভয় দেখিয়ে টাকাপয়সা, এটিএম কার্ড, মোবাইল-সহ নানা দামি জিনিস হাতিয়ে নিয়ে ট্যাক্সি থেকে তাদের বাইরে ফেলে দিয়ে চম্পট দিত ওই চারজন। ধৃতদের কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া মোবাইল ফোন, এটিএম কার্ডের সূত্র ধরে ওই ব্যক্তিদের খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ।
ধৃতদের বিরুদ্ধে মামলা শুরু হয়েছে। ট্যাক্সি দু’টিকে আটক করা হয়েছে। ওই চক্রে আরও কেউ রয়েছে কি না সেটা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
Be the first to comment