বড়সড় সাফল্য পেল কলকাতা পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স। মাদকের সবথেকে বড় ‘কনসাইনমেন্ট’ ব্যর্থ করে দিল তাঁরা। সোমবার মাঝরাতে ১০৫ কোটি টাকার মাদক উদ্ধার করেছে STF। ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে দুজনকে।
জানা গিয়েছে, উদ্ধার হওয়া মাদকের পরিমাণ ২৫ কেজিরও বেশি। এই বিপুল পরিমাণ মাদক সহ ভিন রাজ্যের দুই মাদক কারবারিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে একজন মণিপুরের এবং অন্যজন উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা। ধৃতদের নাম মৌলানা ফৈয়াজউদ্দিন এবং জুবের। বছর চল্লিশের জ়ুবের উত্তরপ্রদেশের বাহরাইচের বাসিন্দা। পেশায় হকার। পাশাপাশি মাদক পাচারকারী হিসেবেও কাজ করে। অন্যদিকে মণিপুরের কাকচিংয়ের বাসিন্দা ফৈয়াজউদ্দিন আদতে কৃষিকাজ করে।
কলকাতায় হাত বদল হবে বড়সড় মাদকের, জানতে পারে কলকাতা পুলিশের স্পেশাল টাস্কফোর্সের সন্ত্রাসদমন শাখা। । সেই সূত্র ধরে নজর রাখা হচ্ছিল। পরে গোয়েন্দারা জানতে পারেন যে সোমবার রাতে পাইকপাড়ায় হবে সেই হাত বদল। সেইমতো ফাঁদ পাতেন তাঁরা। সাম্প্রতিককালে এটিই উত্তর-পূর্ব ভারতের সবথেকে বড় মাদকের ‘কনসাইনমেন্ট’ ৷
তবে গোয়েন্দা সূত্রে খবর, উত্তর-পূর্ব ভারতে খাঁটি হেরোইনের সঙ্গে অন্যান্য মাদক এবং রাসায়নিক মেশানো মাদকের চাহিদা প্রবল। তাতে নেশা হয় বেশি। গোটা দেশেই নাকি প্রবল চাহিদা এই মাদকের। আবার ব্যবসায়িক দিক থেকেও এই মাদক কারবারিদের কাছে লাভদায়ক। কারণ রাসায়নিক দ্রব্য মেশানো ওই মাদক হেরোইনের দামেই বিক্রি হয়। তাই গোয়েন্দারা মনে করছে ফৈয়াজ়উদ্দিন, জু়বেরের কাছ থেকে সেই হেরোইন নিতেই এসেছিল। আর জুবের এসেছিল খাঁটি হেরোইন নিতে।
এখনও পর্যন্ত জানা গেছে, উদ্ধার হওয়া অন্যান্য দ্রব্য মেশানো হেরোইনের পরিমাণ প্রায় ২০ কেজি। পাশাপাশি ৫ কেজির কিছু বেশি খাঁটি হেরোইন উদ্ধার হয়েছে। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। ওই মাদক শুধু কলকাতায় নাকি উত্তর প্রদেশ এবং উত্তর-পূর্ব ভারতে ছড়িয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা ছিল, তা জানার চেষ্টা করছেন গোয়েন্দারা। এছাড়াও ওই মাদক তারা কোথা থেকে পেল, কে তাদের কিংপিন সেসব জানতে আরও জেরা করা প্রয়োজন বলে মনে করছেন তাঁরা। আজ ধৃতদের ব্যাঙ্কশাল আদালতে পেশ করে পুলিশি হেফাজত চাওয়া হবে।
Be the first to comment