দু’বছরের শিশু সন্তানের প্যাম্পার্সের মধ্যে ভালুকের পিত্ত পাচার করতে গিয়ে বমাল গ্রেফতার বাবা। শিশুটির চিৎকার চেঁচামেচি আর তাই নিয়ে হই হট্টগোলের ফাঁক গলে সন্তানকে নিয়ে গা ঢাকা দিল মা। শুক্রবার সকালে এই অভিযান ঘিরে রীতিমতো সাড়া পড়ে গিয়েছে ভারত ভূটান সীমান্ত শহর আলিপুরদুয়ারের জয়গাঁয়।
বনদফতর সূত্রে খবর ভুটান থেকে থাইল্যান্ডে পাচার হচ্ছিল হিমালয়ান ব্ল্যাক বিয়ারের ৩০০ গ্রাম ওজনের ওই পিত্তথলি। আন্তর্জাতিক বাজারে এর দাম প্রায় কোটি টাকা। বনদফতরের টাস্কফোর্সের প্রধান সঞ্জয় দত্ত জানান, ভুটান থেকে জয়গাঁ সীমান্ত দিয়ে শিলিগুড়ি হয়ে থাইল্যান্ডে হিমালয়ান ব্ল্যাক বিয়ারের পিত্ত পাচার হবে বলে খবর পেয়েছিলেন তাঁরা। সেই অনুযায়ী বৃহস্পতিবার রাত থেকে একেবারে ভুটানি পোশাক পরে ভুটানের নাগরিকের ছদ্দবেশে জয়গাঁ সীমান্তে অপেক্ষা করছিলেন তাঁরা। পাচারকারীদের প্রতিমুহূর্তের গতিবিধির উপর নজর রাখা হচ্ছিল অত্যাধুনিক তথ্য প্রযুক্তিকে হাতিয়ার করে।
সীমান্ত পেরিয়ে নির্দিষ্ট গাড়ি ভারতে ঢুকতেই গাড়ি থামিয়ে তল্লাশি শুরু করে টাস্কফোর্স। জেরার মুখে পাচারকারী ওই ভুটানের নাগরিকরা জানায়, বাচ্চার প্যাম্পার্সের ভেতরে রয়েছে পিত্তথলি। বাচ্চাকে প্যাম্পার্স খুলে তল্লাশি করতেই বেরিয়ে আসে পিত্তথলি। ইতিমধ্যে প্রবল কান্না শুরু করে দেয় শিশুটি। হইচই এর মধ্যেই শিশুটিকে নিয়ে গা ঢাকা দেয় তার মা। মহিলার নাম টি টি নামগয়েল। সে পাচারকারীর স্ত্রী বলে দাবি করেন সঞ্জয়বাবু।
ধৃতদের প্রাথমিক জেরায় জানা গেছে, এই ভাল্লুকের পিত্ত দিয়ে ডেংগু, হার্ট ইত্যাদির ওষুধ তৈরি হয়। ধৃতদের আজ জলপাইগুড়ি আদালতে তুলে হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানাবে বনদফতর।
Be the first to comment