সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পর আম আদমি পার্টিকে তীব্র কটাক্ষ করলেন অরুণ জেটলি। শীর্ষ আদালতের রায় বিশ্লেষণ করে বৃহস্পতিবার জেটলি বোঝানোর চেষ্টা করেন, দিল্লির পরিস্থিতি আগে যা ছিল, সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পরও সেই একই অবস্থায় রইল। বুধবারের রায়ে ব্যাপক কোনও পরিবর্তন হয়নি বলেই তাঁর দাবি।
ফেসবুকে এদিন জেটলি লিখেছেন, ”দিল্লি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল। পুলিস, জমি ও জন নির্দেশিকার উপরে অধিকার রয়েছে কেন্দ্রের। আমলাদের নিয়োগ ও বদলির ক্ষেত্রেও দিল্লি সরকারের কোনও ভূমিকা নেই।” জেটলির আরও দাবি, অপরাধের ক্ষেত্রে তদন্ত কমিশনও গঠন করতে পারবে না আপ সরকার।
উল্লেখ্য, দিল্লি ডিস্ট্রিক্ট ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের (ডিডিসিএ) ও সিএনজি দুর্নীতির ঘটনায় ২০১৫ সালে পৃথক তদন্ত কমিশন গঠন করেছিল অরবিন্দ কেজরিওয়ালের সরকার। ২০১৬ সালে সেই তদন্তকে ‘বেআইনি’ বলে রায় দেয় দিল্লি হাইকোর্ট। জেটলির কথায়, ”পুলিসের নিয়ন্ত্রণ আপের হাতে না থাকলে তারা তদন্ত কমিশনও গঠন করতে পারে না।”
উপরাজ্যপালের সঙ্গে আপের ক্ষমতার সংঘাত নিয়ে মামলায় বুধবার সুপ্রিম কোর্টে প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ জানায়, নির্বাচিত সরকারের পরামর্শেই কাজ করতে হবে উপরাজ্যপালকে। এই নিয়ম আগেও ছিল বলে দাবি করেছেন অরুণ জেটলির। তাঁর কথায়, ”রাজ্য সরকার ও কেন্দ্রকে অতিরিক্ত কোনও ক্ষমতা দেয়নি সুপ্রিম কোর্ট। নির্বাচিত সরকারের গুরুত্বই স্মরণ করিয়ে দিয়েছে আদালত। তবে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হওয়ায় কেন্দ্রের অধীনেই থাকতে হবে দিল্লি সরকারকে। রায়ে নির্বাচিত সরকারকে গুরুত্ব দেওয়া হলেও দেশের রাজধানী এলাকায় কেন্দ্রের স্বার্থও রক্ষা করা হয়েছে।” জেটলি আরও বলেন, ”সুপ্রিম কোর্টের রায়ে স্পষ্ট, দিল্লি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল এবং উপরাজ্যপালের ক্ষমতা রাজ্যপালের সমান নয়, বরং সীমাবদ্ধতা নিয়েই তিনি একজন প্রশাসক।”
সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পর আপ দাবি করেছিল, যেভাবে উপ-রাজ্যপালের মাধ্যমে দিল্লির সরকারকে এড়িয়ে নরেন্দ্র মোদী ছড়ি ঘোরাচ্ছেন, তার জবাব দিল সুপ্রিম কোর্ট। বিজেপি অবশ্য দাবি করেছে, আদালতের রায়ে তারা খুশি। এদিন আবার জেটলি স্পষ্ট করলেন, আপের উচ্ছ্বসিত হওয়ার কোনও কারণ নেই, অবস্থা যা ছিল তাই থাকল।
Be the first to comment