গত কয়েক সপ্তাহে আরবিআই আইনের সাত নম্বর ধারায় কেন্দ্রীয় সরকার কয়েকটি চিঠি পাঠিয়েছিল রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর উৰ্জিত প্যাটেলকে। বুধবার অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলির সঙ্গে দেখা করেন উৰ্জিত। অনেকের ধারণা, সাত নম্বর ধারা নিয়েই কথা হয়েছে দুজনের। কিন্তু অর্থমন্ত্রক থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, জনস্বার্থেই দুজনে বৈঠকে বসেছিলেন। দেশের অর্থনীতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। কিন্তু সাত নম্বর ধারা নিয়ে আলোচনা হয়েছে কিনা সেবিষয়ে কিছু বলা হয়নি।
আরবিআই আইনের সাত নম্বর ধারায় বলা হয়েছে, সরকার জনস্বার্থে রিজার্ভ ব্যাঙ্ককে নির্দেশ দিতে পারে। ওই ধারা অনুযায়ী গত কয়েক সপ্তাহে সরকার আরবিআইকে নির্দেশ দিয়েছে, নন ব্যাঙ্কিং আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলি যেন কাঁচা টাকার অভাব না বোধ করে, দুর্বল ব্যাঙ্কগুলির পুঁজির অভাব মেটানোর জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হোক, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পসংস্থাগুলিকে ঋণ দেওয়ার ব্যাপারে বেশি কড়াকড়ি যেন না করা হয়।
কেন্দ্রীয় সরকার নির্দেশ দেওয়ায় অসন্তুষ্ট হয়েছিলেন রিজার্ভ ব্যাঙ্কের কর্তারা। তাঁদের ধারণা, সরকার আরবিআইয়ের স্বশাসনে নাক গলাচ্ছে। গত সপ্তাহে আরবিআইয়ের ডেপুটি গভর্নর ভিরাল আচার্য শিল্পপতিদের সমাবেশে বলেন, রিজার্ভ ব্যাঙ্কের স্বশাসন না থাকলে বিপর্যয় নেমে আসবে। তাঁর বস, আরবিআইয়ের গভর্নর উৰ্জিত প্যাটেলের পরামর্শেই তিনি এই বক্তব্য পেশ করছেন।
তারপর গুজব ছড়িয়ে পড়ে, আরবিআইয়ের কাজে সরকার নাক গলানোয় বিরক্ত হয়ে উৰ্জিত প্যাটেল ইস্তফা দিতে পারেন। বুধবার যখন শোনা যায়, তিনি অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে আসছেন, জল্পনা ওঠে তুঙ্গে।
তার পরেই অর্থমন্ত্রক থেকে বিবৃতি দেওয়া হয়।
Be the first to comment