বিগত বেশ কয়েকদিন ধরেই মারাঠা রাজনীতি সরগরম অভিনেতা শাহরুখ খানের ছেলে আরিয়ান খানের গ্রেফতারি ঘিরে। মাদক কাণ্ডে আরিয়ানের গ্রেফতারির পর থেকেই একের পর অভিযোগ করে এসেছে এনসিপি। এবার এনসিপির তরফে নবাব মালিক এনসিবির বিরুদ্ধে আরও একটি বিস্ফোরক অভিযোগ তুলেছেন। তাঁর দাবি, মাদক অভিযান চলাকালীন কর্ডেলিয়া নামক ক্রুজ থেকে দুই জনকে বেরিয়ে যেতে দেয় এনসিবি। এই দুই ব্যক্তির মধ্যে একজন নাকি আবার বিজেপি নেতার আত্মীয়।
এদিকে এনসিবি এইসব অভিযোগকে ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছে। বিজেপির তরফে এই অভিযোগের জবাবে দেন মহারাষ্ট্রের আইন পরিষদে বিরোধী নেতা প্রবীণ দারেকর দাবি করেন যে এগুলি কেবল অভিযোগ এবং ভিডিয়ো এবং ছবিগুলি নকল করা যেতে পারে। তিনি আরো অভিযোগ করেন, অভিযুক্তকে বাঁচাতে নবাব মালিক অভিযোগ করছেন। এদিকে নবাব মালিকের বক্তব্য, ‘অভিযানের পর এনসিবির জোনাল প্রধান সমীর ওয়াংখাড়ে বলেন যে ১১ জনকে আটক করা হয়েছে।
তবে শেষ পর্যন্ত দেখা যায় যে ৮ জনকে আটক করা হয়েছে। তাহলে বাকি দুই জন কই?’ নবাব মালিক দাবি করেন এনসিবি ঋষভ সচদেব নামক একজনকে ছেড়ে দেয়। তিনি বিজেপির প্রাক্তন যুব মোর্চার প্রধান মোহিত ভারতীয়র শ্যালক। এনসিবির হাত থেকে মুক্তি পাওয়া অন্য দুজন হলেন আমির ফার্নিচারওয়ালা এবং প্রতীক গবা।
এর আগে এনসিপির মুখপাত্র নবাব মালিক সাংবাদিকদের বলেছিলেন, মনু ভানুশালী নামক একজন বিজেপি নেতাকে দেখা গিয়েছিল অভিযুক্ত আরবাজ মারচেন্টকে এনসিবি কার্যালয়ে নিয়ে যেতে। এরপর মালিক প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে ভানুশালীর ছবিও দেখান।
এদিকে আরও জানা গিয়েছে, আরিয়ানের বিরুদ্ধে সাক্ষ প্রদানকারী গোয়েন্দা পুণের এক জালিয়াতি মামলায় পলাতক। সম্প্রতি একটি ছবি ভাইরাল হয় যাতে দেখা যায় কেপি গোসাভি একজন প্রাইভেট গোয়েন্দা সেলফি তুলছেন ধৃত আরিয়ান খানের সঙ্গে। এনসিবির অভিযানে কেপি গোসাভি এবং বিজেপি নেতার থাকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে এনসিপি। এরই মাঝে এনসিবির তরফে জানানো হয়, গোসাভি ও বিজেপি নেতা ভানুশালী মামলায় সাক্ষী।
Be the first to comment