যত দিন এগোচ্ছে, ততই জলঘোলা হচ্ছে কংগ্রেসের জাতীয় সভাপতি নির্বাচন নিয়ে। গান্ধী পরিবার আর সভাপতির দায়িত্ব নিতে না চাওয়ায়, এবার অ-গান্ধী কোনও মুখকেই সভাপতি হিসাবে বেছে নেওয়া হবে বলে জল্পনা। প্রার্থী হিসাবে এখনও অবধি এতজনেরই নাম সামনে এসেছে, তিনি হলেন রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট। মঙ্গলবারই তিনি দিল্লিতে দলনেত্রী সনিয়া গান্ধীর সঙ্গে একান্ত বৈঠক করেন। এরপরই জল্পনা আরও জোরাল হয় যে, দলের পরবর্তী সভাপতি হতে চলেছেন অশোক গেহলট। তবে এদিন সকালেই সাংবাদিক বৈঠক করে গেহলট দাবি করেন, এমন কোনও কথাই হয়নি। তিনি সংবাদমাধ্যমের কাছেই প্রথম সভাপতি হওয়ার কথা শুনছেন।
এদিন অশোক গেহলট সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, “আমি মিডিয়ার কাছ থেকেই এই প্রথম শুনছি। আমি এই বিষয়ে কিছু জানিনা। দলের তরফে আমায় যা দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, আমি সেই কাজই করছি।” উল্লেখ্য, গতকালই ‘দ্য হিন্দু’ সংবাদমাধ্যমের তরফে জানানো হয়, সনিয়া গান্ধীর সঙ্গে রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেন রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট। সেই বৈঠকেই সনিয়া গান্ধী নাকি অশোক গেহলটকে দলের সভাপতি হওয়ার প্রস্তাব দেন।
গতকাল বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে অশোক গেহলট বলেন, “যদি রাহুল গান্ধী সভাপতি না হন, তবে দেশের সমস্ত কংগ্রেস কর্মীরাই অত্যন্ত আশাহত হবেন। বহু কর্মী বাড়িতে বসে যাবেন, এরফলে দলেরই ক্ষতি হবে। ওনার (রাহুল গান্ধীর) উচিত কংগ্রেস কর্মীদের অনুভূতির মর্যাদা রেখে নিজে থেকেই এই দায়িত্ব গ্রহণ করা। দলের সকলেই চান রাহুল গান্ধীই সভাপতি হোক। তাই আমার মনে হয় ওনার এই প্রস্তাব গ্রহণ করা উচিত। এটা গান্ধী বা অ-গান্ধী পরিবারের বিষয় নয়, এটা সংগঠনের কাজ এবং এতে কেউ প্রধানমন্ত্রী হয়ে যাবেন না।”
এদিকে, অশোক গেহলটের নাম সভাপতি হিসাবে উঠে আসা নিয়ে বিস্তর রাজনৈতিক চর্চা শুরু হয়েছে। গান্ধী পরিবার নিজের হাতে দায়িত্ব না রাখলেও, অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ হিসাবে পরিচিত অশোক গেহলটকে দায়িত্ব দিতে চলেছেন, যাতে পরোক্ষে তাদের হাতেই দলের নিয়ন্ত্রণ থাকে, এমনটাই মত রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের।
Be the first to comment