করোনা ভাইরাস পরিস্থিতি সামলাতে ব্যস্ততা তুঙ্গে ৷ এহেন পরিস্থিতিতেই রাজস্থানে সরকার ফেলে দেওয়ার প্লট তৈরি করছে বিজেপি ৷ শনিবার ফের বিজেপির বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ তুললেন রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট৷ তাঁর অভিযোগ, কংগ্রেস ও নির্দল বিধায়কদের বিজেপি কোটি কোটি টাকা অফার করছে ৷ তাঁর কথায়, এই রকম পরিস্থিতি অটল বিহারী বাজপেয়ীর আমলেও হয়নি ৷
সাংবাদিক সম্মেলনে গেহলট এ দিন বলেন, ‘কী ভাবে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সাহায্যে ওরা একটি নির্বাচিত সরকারকে ফেলার চেষ্টা করছে, তা এখন মানুষের সামনে৷ যে বিধায়কদের কিনতে চাইছে, তাঁদের ১০ কোটি টাকা করে অ্যাডভান্স দিতে চাইছে ৷ সরকার পতনের পরে আরও ১৫ কোটি টাকা দেওয়ার আশ্বাস দিচ্ছে। কিছু বিধায়ককে তো আরও বেশি অফার করছে ৷’
মধ্যপ্রদেশের উদাহরণ টেনে রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘অন্য রাজ্যে যে রকম ঘোড়া কেনাবেচা দেখেছি, ওই রকম রাজস্থানে কখনওই হবে না ৷ মধ্যপ্রদেশের মতো বিধায়করা এখানে ইস্তফা দেবেন না৷ ওরা গুজরাতেও বিধায়ক কিনেছে ৷ যে ভাবে মধ্যপ্রদেশে ছক তৈরি করেছিল, একই রকম ছক রাজস্থানে তৈরির চেষ্টা করছে ৷ বাজপেয়ীজির আমলেও এরকম হয়নি৷ ২০১৪ সালের পর থেকেই ওদের দলকে দম্ভ গ্রাস করেছে ৷ ধর্মের নামে মানুষের মধ্যে ভেদাভেদ টানার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে৷ ইডি, সিবিআই, আয়কর বিভাগের অপব্যবহার করছে ৷’
বিজেপি-র বিরুদ্ধে আরও বেশ কিছু রাজ্যের সরকার ফেলার চেষ্টার অভিযোগ তুলে গেহলট বলেন, ‘ওরা গোয়া, মণিপুরে এই কাজ করেছে ৷ অরুণাচলপ্রদেশে বিধায়ক কিনে সরকার ফেলে দিয়েছে ৷ একজন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী আত্মহত্যা করতে বাধ্য হয়েছেন ৷ একই রকম ঘটনা ঘটেছে উত্তরাখণ্ডে, যেখানে বর্তমান মন্ত্রিসভায় ৫ জন মন্ত্রী কংগ্রেস থেকে এসেছেন৷ মহারাষ্ট্রে শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানই করে ফেলেছিল সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পেয়েও ৷’
রাজস্থানে সরকার ফেলার চেষ্টার অভিযোগের তদন্ত করছে রাজ্য পুলিশের স্পেশাল অপারেশন গ্রুপ ৷ ঘোড়া কেনাবেচা করে কংগ্রেস সরকারে ফেলে দেওয়ার চেষ্টায় জড়িত থাকার অভিযোগে শুক্রবারই দু’জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ৷
বিজেপি যদিও এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে৷ রাজস্থানের বিজেপি-র প্রধান সতীশ পুনিয়ার দাবি, দু’জন অপরাধীকে ঘিরে একটি মামলা সাজিয়ে হাস্যকর ঘটনা ঘটাচ্ছে গেহলট সরকার৷ তাঁর মতে গেহলট ও সচিন পাইলটের মতবিরোধ থেকে মানুষের নজর ঘোরাতেই এই সব গল্প ফাঁদা হচ্ছে৷
Be the first to comment