দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়িয়েছিল খবর। রাত পেরিয়ে সকাল হতেই অসমের জায়গায় জায়গায় শুরু হয় বনধ। বিক্ষোভের আগুন জ্বলছে উত্তর-পূর্বের এই রাজ্যে।
বৃহস্পতিবার সন্ধেবেলা পাঁচ বাঙালিকে খুন করেছে জঙ্গিরা। ডেকে নিয়ে গিয়ে লাইন দিয়ে দাঁড় করিয়ে গুলি করে মেরে ফেলা হয় তাঁদের। প্রাথমিক সন্দেহের তির উগ্রপন্থী সংগঠন আলফা (স্বাধীন) গোষ্ঠীর দিকে। যদিও সংযুক্ত মুক্তিবাহিনী, অসম (স্বাধীন)-এর তরফে বিবৃতি দিয়ে এই ঘটনায় তাদের যুক্ত থাকার কথা অস্বীকার করেছে।
বৃহস্পতিবার রাতেই তিনসুকিয়ার খেরবাড়ি এলাকায় পরিদর্শনে গিয়েছিলেন রাজ্যপুলিশের শীর্ষ কর্তারা। কেন্দ্রীয় গৃহমন্ত্রী রাজনাথ সিং বৃহস্পতিবার রাতেই টুইট করে এই ঘটনায় তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে কড়া পদক্ষেপের কথা বলেছিলেন। শুক্রবার সকাল থেকেই অসম-অরুণাচল এবং অসম-মায়ানমার সীমান্তে শুরু হয়ে গিয়েছে সেনা অভিযান। চলছে তল্লাশি। সমস্ত পয়েন্টে নাকা চেকিং করছে অসম রাইফেলসের বিশেষ বাহিনী।
অসমের বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে শুরু হয়েছে ১২ ঘণ্টার বনধ। রেল অবরোধ, সড়ক অবরোধে বিপর্যস্ত গোটা অসম। সারাভারত নমঃশূদ্র সমাজের পক্ষ থেকে সীমান্ত এলাকায় পিকেটিং-এর ডাক দেওয়া হয়েছে। এখনও পর্যন্ত সন্দেহভাজন দু’জন আলফা নেতাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
অসমের ঘটনায় বৃহস্পতিবার রাতেই টুইট করেছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ঘটনার তীব্র নিন্দা করে ডাক দিয়েছিলেন প্রতিবাদের। শুক্রবার রাজ্যের সর্বত্র বিক্ষোভে নামে তৃণমূল কংগ্রেস। দুপুরে যাদবপুর ৮-বি বাসস্ট্যান্ড থেকে মিছিল হয় হাজরা পর্যন্ত। মিছিলের নেতৃত্বে ছিলেন যুব তৃণমূল সভাপতি তথা ডায়মন্ডহারবারের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। উত্তরবঙ্গ এবং দক্ষিণবঙ্গের সব জেলায় প্রতিবাদ কর্মসূচিতে নামে বাংলার শাসক দল।
এদিকে শনিবার রাজ্য জুড়ে কালদিবস পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কংগ্রেস। শুক্রবার বিকেলে সাংবাদিক সম্মেলন করে একথাই জানিয়েছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্র।
Be the first to comment