অসমে একের পর এক শিক্ষিত তরুণ-তরুণী যোগ দিচ্ছে আলফা-স্বাধীনে। নভেম্বরেই আলফা-স্বাধীনের প্রধান পরেশ বরুয়ার বড়দা তথা প্রাক্তন সেনাকর্মী বিমল বরুয়ার ছেলে মুন্না বরুয়া যোগ দিয়েছেন আলফা-স্বাধীনে । আর্মি পাবলিক স্কুলের প্রাক্তনী, ইন্ডিয়ান অয়েলের ট্রেনি জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ার মুন্না আলফায় নাম লেখানোয় এমনিতেই চিন্তায় প্রশাসন। এ বার সামনে এল আরও এক তরুণের নাম। সম্প্রতি একটি ভিডিও বার্তা ছড়িয়ে আলফা-স্বাধীনে যোগ দেওয়ার কথা নিশ্চিত করেছেন বছর সাতাশের সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার চাও অভিজিৎ গোগোই।
মোরানের বাসিন্দা গোগোই ইঞ্জিনিয়ারিং পাস করেছেন ২০১২ সালে এসআরএম ইউনিভার্সিটি থেকে। তাঁর দাবি, এমবিএ করার পর একাধিক বহুজাতিক সংস্থায় নাকি তিনি চাকরিও করেছেন। সিঙ্গাপুর, অস্ট্রেলিয়া ঘুরে সম্প্রতি বেঙ্গালুরুর একটি সংস্থায় কর্মরত ছিলেন তিনি। অসমের জনজাতিকে রক্ষার জন্যই তাঁর আলফায় যোগদান, ভিডিও বার্তায় এমনটাই জানিয়েছেন গোগোই।
নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল আসার পরেই নতুন প্রজন্মের মধ্যে বেড়েছে আলফার প্রতি সহানুভূতি ও আকর্ষণ। ওই সংশোধনীর বিরুদ্ধে রাজ্যে ৭০টি সংগঠন আন্দোলনে নেমেছে। এই পরিস্থিতির সুযোগ নিয়েই আলফার উত্থান ঘটছে ফের। যা চিন্তায় ফেলেছে কেন্দ্রকে। সমীক্ষা বলছে, গত কয়েক মাসে আলফা-স্বাধীনে যোগ দিয়েছেন শতাধিক তরুণ-তরুণী। বেশিরভাগই স্কুল-কলেজ পড়ুয়া, চাকরিজীবীও রয়েছেন। পুলিশ জানিয়েছে, ভিডিও বার্তায় গোগোই বলেছেন, “অসমে যা ঘটছে তা খুবই দুর্ভাগ্যজনক। এই অবস্থায় আমরা যদি এগিয়ে না আসি, তাহলে কেউ আসবে না। তরুণ প্রজন্মকে আমি এই কাজে আহ্বান জানাচ্ছি। ”
প্রশাসন সূত্রে খবর, সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহে তিনসুকিয়া ও উদালগিরি জেলা থেকে কমপক্ষে ১১ জন তরুণ নাম লেখায় আলফা-স্বাধীনে। ২০১৭-১৮ সালের মধ্যে তিনসুকিয়া থেকেই ন’জন যোগ দিয়েছেন আলফা-স্বাধীনে। এক দিকে রাজ্যে সব উন্নয়নমূলক কাজ বন্ধ। অন্য দিকে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল এনে অসমীয়াদের মনে অসন্তোষের বীজ বোনা হয়েছে। তার ফলেই রাজ্যে শক্তি বৃদ্ধির সুযোগ পেয়েছে আলফা স্বাধীন।
Be the first to comment