মণিপুর ইস্যুতে আলোচনা হতে পারে বিধানসভার বাদল অধিবেশনে

Spread the love

মণিপুরের হিংসা ও মধ্যযুগীয় বর্বরতা নিয়ে বিধানসভার বাদল অধিবেশনে আলোচনা হতে পারে। শনিবার বিধানসভার অধিবেশন শুরুর দিন ঘোষণার পাশাপাশি এই বিষয় নিয়ে ইঙ্গিত দিলেন অধ্যক্ষ বিমান বন্দোপাধ্যায়। সোমবার থেকে শুরু হতে চলেছে রাজ্য বিধানসভার অধিবেশন। এই অধিবেশনে মণিপুরের হিংসা নিয়ে নিন্দা প্রস্তাব এনে আলোচনার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে এ বিষয়ে কার্য উপদেষ্টা কমিটির বৈঠকে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে বলে জানিয়েছেন বিধানসভার অধ্যক্ষ।

দীর্ঘ টালবাহানার পরে অবশেষে বিধানসভার বাদল অধিবেশনের জন্য সম্মতি দিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। সোমবার থেকে শুরু হচ্ছে রাজ্য বিধানসভার বাদল অধিবেশন। শুক্রবার বিকেলে ফোনে দীর্ঘক্ষণ পরিষদীয় মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে রাজ্যপালের কথা হয়। তার পরেই ২৪ জুলাই থেকে অধিবেশন শুরুর বিষয়ে ঐক্যমত্য হয় বলে নবান্ন সূত্রে খবর। শনিবারেই স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় এবং পরিষদীয়মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় বাদল অধিবেশন সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে বৈঠক করেন। তারপরেই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে অধিবেশন শুরুর কথা জানান বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়।

এবারে বিধানসভা অধিবেশন তাৎপর্য। রাজ্যপাল কেরলের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওমেন চান্ডির মৃত্যুতে কেরল গিয়েছিলেন। আর সেই কারণেই অধিবেশন ডাকতে দেরি হয়েছে বলে এদিন জানান অধ্যক্ষ। অধ্যক্ষ বলেন, ‘রাজ্যপাল তাঁর কাজ করবেন। আমরা আমাদের কাজ করব। রুল অনুযায়ী যা কাজ করার সেটাই করেছি। সংঘাতের কোন জায়গা নেই। সোমবার শোক প্রস্তাব হয়ে অধিবেশন শেষ হয়ে যাবে। তার আগে সর্বদলীয় বৈঠক হবে। সর্বদল বৈঠকে বিরোধী দল বিজেপি যাতে অংশ সেই আহ্বান ও জানান অধ্যক্ষ।

মণিপুরের হিংসা ও মৃত্যুর ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মণিপুরে তৃণমূলের প্রতিনিধি দল পাঠিয়েছিলেন তিনি। সেই সঙ্গে ইন্ডিয়া জোটের তরফে মুখ্যমন্ত্রীদের একটি প্রতিনিধি দল মণিপুর যেতে পারে বলে জানিয়েছেন মমতা। এবার এ নিয়ে বিধানসভাতেও সরব হতে চাইছে তৃণমূল। তবে কার্য উপদেষ্টা কমিটির বৈঠকে এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে বলে জানান অধ্যক্ষ।এবারের অধিবেশনের আগে আর সময় না থাকায় রবিবার ছুটির দিনেও বিধায়করা প্রশ্ন জমা দিতে পারবেন বলে জানিয়েছেন অধ্যক্ষ।

বিরোধীদের ভূমিকা সমালোচনা করে অধ্যক্ষ বলেন, বিরোধীরা সর্বদল বৈঠক কিংবা কার্য উপদেষ্টা কমিটির বৈঠকে কেন থাকেন না তা জানি না! বিধানসভায় বিরোধীদের এক-তৃতীয়াংশ সদস্য সংখ্যা থাকলেও তাদের ৫০ শতাংশ সময় বরাদ্দ করা হয়। লোকসভাতেও বিরোধীদের এই সময় দেওয়া হয় না। মুখ্যমন্ত্রী যখন বলতে ওঠেন তখন বিরোধীরা বেরিয়ে যান এটাও দুর্ভাগ্যজনক।তাই এবারের অধিবেশনে বিরোধীদের অধিবেশনে উপস্থিত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন অধ্যক্ষ।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*