সীমান্তবর্তী এলাকায় বিএসএফ-এর কর্মকাণ্ডের সীমানাবৃদ্ধি নিয়ে আলোচনা করা হবে রাজ্য বিধানসভায় ৷ আগামী ১৭ নভেম্বর এই বিষয়ে আলোচনা করা হবে ৷ শুক্রবার একথা জানিয়েছেন তৃণমূলের মুখ্য সচেতক নির্মল ঘোষ ৷ এদিন বিধানসভায় সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি জানান, বাণিজ্য উপদেষ্টা কমিটির বৈঠকে এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ৷
উল্লেখ্য, এর আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় বিএসএফ-এর এক্তিয়ার বৃদ্ধি নিয়ে কেন্দ্রের সিদ্ধান্তের কড়া সমালোচনা করেছিলেন ৷ তাঁর মতে, এভাবে কেন্দ্র আসলে রাজ্যের অধিকারে হস্তক্ষেপ করছে ৷ প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই বিএসএফ-এর এক্তিয়ার বৃদ্ধি নিয়ে একটি নির্দেশিকা জারি করে কেন্দ্র ৷ সেখানে পশ্চিমবঙ্গ, অসম ও পঞ্জাবের সীমান্তবর্তী এলাকাগুলিতে বিএসএফ-এর কাজের এক্তিয়ার ১৫ কিলোমিটার থেকে বাড়িয়ে 50 কিলোমিটার করে দেওয়া হয় ৷ ইতিমধ্যেই পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছেন ৷
অন্যদিকে, এদিনই রাজ্য বিধানসভায় একটি প্রস্তাব পাস করা হয় ৷ হাওড়া পৌরনিগম থেকে বালিকে বাদ দিয়ে আলাদা পৌরসভা গঠনের সিদ্ধান্তে সিলমোহর দেওয়া হয় ৷ সরকার পক্ষের বক্তব্য, নাগরিকদের আরও ভাল পরিষেবা দিতেই এই পদক্ষেপ করা হয়েছে ৷ রাজ্যের পৌরমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বিধানসভায় প্রস্তাবটি পেশ করেন ৷ তারপর নিয়ম মফিক তা পাস করা হয় ৷ প্রস্তাবের স্বপক্ষে বক্তব্য পেশ করেন বালির তৃণমূল বিধায়ক রানা চট্টোপাধ্য়ায় এবং কান্দির বিধায়ক অপূর্ব সরকার ৷
প্রসঙ্গত, একটা সময় বালি আলাদা পৌরসভাই ছিল ৷ কিন্তু, পরে সেটি ভেঙে হাওড়া পৌরনিগমের সঙ্গে জুড়ে দেওয়া হয় ৷ ২০১৫ সালে বালির ১৬টি ওয়ার্ড হাওড়ার ৫০টি ওয়ার্ডের সঙ্গে মিশে যায় ৷ সেই মতো, নতুন করে ওয়ার্ডের ক্রম ও সংখ্যা নির্ধারণ করা হয়। এবার আবার বালির ওয়ার্ডগুলিকে হাওড়া পৌরনিগমের আওতা থেকে বের করে আনা হবে ৷ চলতি বছরের জানুয়ারি মাসেই এই সিদ্ধান্ত রাজ্য মন্ত্রিসভায় পাস হয়ে যায় ৷
Be the first to comment