কেন্দ্রের নয়া কৃষি আইনের বিরুদ্ধে প্রস্তাব গ্রহণ করতে করোনা আবহেও বিধানসভায় বিশেষ অধিবেশন ডাকা হয়। বৃহস্পতিবার প্রথম দিনের এই অধিবেশনে গারহাজির তৃণমূল বিধায়ক লক্ষ্মীরতন শুক্লা,রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় বৈশালী ডালমিয়া এবং প্রবীর ঘোষাল। প্রত্যেক বিধায়ককে বিধানসভা হাজির থাকার জন্য হুইপ জারি করেছে তৃণমূল।
নয়া কৃষি আইনের বিরুদ্ধে দিল্লিতে একটানা আন্দোলনে লক্ষ-লক্ষ কৃষক। ইতিমধ্যেই একাধিক রাজ্য কেন্দ্রের এই নয়া কৃষি আইনের বিরুদ্ধে বিধানসভায় প্রস্তাব পাশ করেছে। পশ্চিমবঙ্গের শাসকদল তৃণমূল শুরু থেকে কৃষি আইনের বিরোধিতা করলেও এখনও পর্যন্ত সর্বসম্মতভাবে কেন্দ্রের এই পদক্ষেপের বিরুদ্ধে প্রস্তাব গ্রহণ করেনি। যা নিয়ে শাসকদল তৃণমূলকে বিঁধে গত কয়েকমাস ধরে সমালোচনা করে চলেছে বাম ও কংগ্রেস। শেষমেশ বিধানসভায় বিশেষ অধিবেশন ডাকেন অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়।
বৃহস্পতিবার বিধানসভায় বিশেষ অধিবেশনে কেন্দ্রের কৃষি আইন বিরোধী প্রস্তাব গ্রহণ করা হবে। ইতিমধ্যেই বাম ও কংগ্রেস যৌথভাবে একটি প্রস্তাব জমা দিয়েছে। বাম ও কংগ্রেসের দাবি, তাদের প্রস্তাবকে সামনে রেখে আলোচনা করুক সরকার।
একইভাবে সরকারের পক্ষ থেকেও কৃষি আইনের বিরোধিতায় প্রস্তাব আনা হচ্ছে। এদিকে, অধিবেশনের প্রথম দিন বিধানসভা গরহাজির তৃণমূল বিধায়ক লক্ষ্মীরতন শুক্লা,রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় বৈশালী ডালমিয়া এবং প্রবীর ঘোষাল। ইতিমধ্যেই দলের সব পদ ও মন্ত্রিসভা ছেড়েছেন লক্ষ্মীরতন শুক্লা।
একইভাবে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ও মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করেছেন। বৈশালী ডালনমিয়াকে দল থেকে বহিষ্কার করেছে তৃণমূল। অন্যদিকে, উত্তরপাড়ার তৃণমূল বিধায়ক প্রবীর ঘোষালও বেসুরো গাইছেন। এই অবস্থায় দলের এতজন বিধায়ক গরহাজির থাকায় অস্বস্তি শাসকশিবিরে। দলের তরফে সব বিধায়ককে অধিবেশনে হাজির থাকতে বলে হুইপ জারি করা হয়েছে।
Be the first to comment