মোদিই ছিলেন আডবানী ও বাজপেয়ীর মধ্যে মতপার্থ্যকের অন্যতম কারণ

Spread the love

মোদিই ছিলেন আডবানী ও প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ীর মধ্যে মতপার্থ্যকের অন্যতম কারণ। এমনকী ব্যক্তিগত ভাবে রামমন্দিরের পক্ষে থাকলেও, গণতান্ত্রিক দৃষ্টিভঙ্গির কারণেই বাজেপেয়ী চেয়েছিলেন সর্বজনগ্রাহ্য মতামতের। ‘সাহিত্য অমৃত’ নামের একটি হিন্দি ম্যাগাজিনে বাজপেয়ীকে নিয়ে স্মৃতিচারণে এমনটাই জানান লালকৃষ্ণ আডবানী।

প্রয়াত রাজনীতির অজাতশত্রুর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে, সেই সময়কার নানাবিধ মতানৈক্যের প্রসঙ্গও উল্লেখ করেন। ভারতের প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী সেই প্রসঙ্গে আরও বলেন, রামমন্দির নিয়ে বিজেপির ভূমিকার সরাসরি বিরোধিতা করেছিলেন। নিজের ব্যক্তিগত ইচ্ছার বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েও সম্মিলিত সিদ্ধান্তের পক্ষপাতী ছিলেন। যদিও সেই মতবাদ অনেক নেতাদের বিরোধিতাতেই মুখ থুবড়ে পড়েছিল। এমনকী তারপরেই, আডবাণীর রথের সিদ্ধান্তেরও বিপক্ষে ছিলেন তিনি।

শেষ পর্যন্ত অবশ্য বিহারেই আটকে যায় সেই রথের চাকা। এই নিয়ে তীব্র মনোমালিন্যের সৃষ্টি হয় বাজপেয়ী ও আডবাণীর মধ্যে। যদিও কেউ কাউকে কোনওদিনই ব্যক্তিগত আক্রমণের পথে যাননি। গুজরাতের দাঙ্গা নিয়েও দু’জনের মধ্যে মতভেদ চূড়ান্তে উঠেছিল। বাজপেয়ী চেয়েছিলেন, মোদি ইস্তফা দিক। অন্তত ইস্তফা দেওয়ার কথা ঘোষণা করুক। সেই সিদ্ধান্তেরও বিরোধিতা করেছিলেন আডবাণী। নিজের অবস্থানের সম্পর্কে তিনি বলেন, সবেমাত্র মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে সবে ক্ষমতায় এসেছে মোদি। একবছর পূর্ণ হতে চলেছে প্রায়। এখনই তাঁকে দায়ী করা ঠিক হবে না।

সেসময় গোয়ায় বিজেপির এক্সিকিউটিভ কমিটির মিটিংয়ে বিষয়টি নিয়ে যশোবন্ত সিন্‌হা বাজেপেয়ীর মতামত জানতে চান। তখন বাজপেয়ী জানান, মোদির দায় নেওয়াটাই উচিত। অন্তত ইস্তফার কথা ঘোষণা করুক। কিন্তু আডবাণী সহ অন্যান্য নেতাদের তীব্র বিরোধিতায় সেই প্রস্তাব বাতিল হয়।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*