একের পর এক গ্রাহকের অ্যাকাউন্ট থেকে উধাও টাকা, শহরজুড়ে তীব্র আতঙ্ক

Spread the love

ফের এটিএম জালিয়াতি কলকাতায়। একের পর এক গ্রাহকের এটিএম থেকে তুলে নেওয়া হচ্ছে হাজার হাজার টাকা। দিল্লির এক এটিএম থেকে তুলে নেওয়া হচ্ছে এই টাকা। ঘটনার প্রায় ৪৮ ঘন্টা পর ফাঁস হল সেই চাঞ্চল্যকর তথ্য। একের পর এক অভিযোগ আসতে শুরু করেছে যাদবপুর থানায়। এমন অ্যাকাউন্ট থেকে উবে গিয়েছে টাকা, প্রায় ২৫ জন মানুষ থানায় লিখিত অভিযোগ জমা করেছেন। ঘটনাকে কেন্দ্র করে শহরজুড়ে তীব্র আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। একের পর এক এভাবে অভিযোগ আসতে থাকায় নড়েচড়ে বসেছে কলকাতা পুলিশ। ইতিমধ্যে ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ। যদিও কীভাবে এই ঘটনা ঘটছে তা নিয়ে পুলিশের মধ্যেও একটা ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে।

ভয়ঙ্কর প্রতারণার স্বীকার হওয়া এক ব্যক্তি এক টেলিভিশনকে জানিয়েছেন, হঠাত করেই তিনি দেখেন যে তাঁর মোবাইলে পরপর দুটি এসএমএস এসেছে। তাতে দেখা যাচ্ছে দিল্লি থেকে এটিএম থেকে দুবার ১০ হাজার টাকা করে তুলে নেওয়া হয়েছে। আর তা দেখে রীতিমত আঁতকে ওঠেন ওই ব্যক্তি। কার্যত রাতের ঘুম উড়ে যায়। সঙ্গে সঙ্গে তাঁর সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের হেল্পলাইনে ফোন করে বিস্তারিত তথ্য জানান। সেই সময় তাঁকে বলা হয় অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি দ্রুত যাতে তিনি থানায় এফআইআর দায়ের করতে পারেন সেজন্যে পরামর্শ দেন।

শুধু তিনিই নয়, যাদবপুর থানায় এমন ভুরি ভুরি অভিযোগ জমা পড়েছে। জানা যাচ্ছে, এমন ২৫ জন টাকা গায়েব হওয়া নিয়ে পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন। তাঁদের সবারই অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা গায়েব হয়ে গিয়েছে। প্রায় লক্ষাধিক টাকার এটিএম কেলেঙ্কারি শহরজুড়ে।

প্রসঙ্গত, গত মাসখানেক আগে কলকাতায় এটিএম জালিয়াতির একাধিক ঘটনা ঘটেছিল। তদন্তে করে দেখা যায় বিভিন্ন এটিএমে স্কিমার মেশিন বসিয়ে জালিয়াতি করা হয়েছে। যাদবপুরে জালিয়াতির তদন্তে নেমে এলাকার প্রায় সব এটিএম পরীক্ষা করে দেখেছে। খুঁটিয়ে দেখা হয়েছে ওইসব এটিএমে কোনও ডিভিইস বসানো হয়েছে কিনা। পাশাপাশি জানা যাচ্ছে, যাদবপুরের ওইসব প্রতারিত গ্রাহকরা কারও সঙ্গে এটিএম পিন বা অন্য কোনও তথ্য আদানপ্রদান করেননি। তার পরেও গায়েব হয়ে যাচ্ছে হাজার হাজার টাকা। তদন্তে নেমে পুলিশ এখনও অন্ধকারে। কলকাতা থেকে এত মাইল দূরে দিল্লিতে বসে কীভাবে কলকাতাবাসীর অ্যাকাউন্ট খালি করে দেওয়া হচ্ছে তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*