এটিএম জালিয়াতি কাণ্ডে গ্রেফতার ৭, জেরা করে মিললো চাঞ্চল্যকর তথ্য

Spread the love
এটিএম থেকে টাকা হাপিস কাণ্ডে, গ্রেফতার হওয়া সাত জনকে জেরা করে মিলল চাঞ্চল্যকর তথ্য।
ধৃতদের সকলেরই বাড়ি বিহারের সিওয়ান জেলায়। তারা কলকাতা সংলগ্ন জেলা হাওড়ার হাওড়া স্টেশন, কলকাতা শহরতলির দমদম ও মধ্য কলকাতার রাজাবাজার এলাকায় বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকত। বিভিন্ন লোকজনকে কমিশনের মাধ্যমে তারা ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্ট খোলাত। তারপর তাদের এটিএম কার্ড ও পিন নম্বর তারাই নিয়ে নিত। এর পরে ওই অ্যাকাউন্টগুলিতে প্রতিবারই ৫০ হাজার টাকার নীচে জমা পড়ত।
অ্যাকাউন্ট মালিকদের বলা হতো, তাঁরা প্রাইজ মানি জিতেছেন। তার দু’ঘণ্টার মধ্যে সেই টাকা তুলে নিয়ে এক জন নির্দিষ্ট ব্যক্তির হাতে দেওয়া হতো। বন্ধ করে দেওয়া হতো অ্যাকাউন্ট। জানা গিয়েছে, কার হাতে কত টাকা দেওয়া হবে, তা পাকিস্তান থেকে ওই ‌এজেন্টদের কাছে হোয়াটসঅ্যাপে নির্দিষ্ট কোড দিয়ে জানিয়ে দেওয়া হতো। ওই কোড মিলিয়েই এজেন্টরা টাকা নির্দিষ্ট ব্যক্তির হাতে তুলে দিত। এভাবেই গত কয়েক মাস ধরে সক্রিয় ছিল ওই চক্র।
ধৃতেরা জানায়, এই টাকা দিয়ে বিভিন্ন সামগ্রী কিনে তা দুবাইয়ে পাঠানো হতো, সেখানে এই সমস্ত সামগ্রী বিক্রি করে টাকা পাঠানো হত পাকিস্তানে। কিন্তু কেন এভাবে ঘুরপথে টাকা পাঠানো হত পাকিস্তানে, সেই টাকা কাদের কাছে যেত, কী কাজে লাগত তা এখন পরিষ্কার নয়। বিহারের একটা চক্র এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে হাওড়া পুলিশের একটি বিশেষ টিম যাচ্ছে বিহার।
কিছু দিন আগেই হাওড়ার গোলাবাড়ি থানা এলাকায় একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কে ৬ লক্ষ ৩০ হাজার টাকার চেক জালিয়াতির ঘটনা ঘটে। ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারে গোলাবাড়ি থানায় অভিযোগ দায়ের করে। তার পরে এই ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ এই আন্তজার্তিক চক্রের হদিস পেয়েছে।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*