রাজ্যের স্বরাষ্ট্রসচিব অত্রি ভট্টাচার্যকে সরিয়ে দিল নির্বাচন কমিশন। আপাতত মুখ্যসচিবকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে তাঁর কাজ পরিচালনা করার জন্য।
উল্লেখ্য, বুধবার সন্ধ্যায় দিল্লিতে সাংবাদিক বৈঠক করে কমিশনের তরফে বলা হয়, স্বরাষ্ট্রসচিব অত্রি ভট্টাচার্য মুখ্য নির্বাচন অফিসারের কাজে হস্তক্ষেপ করেছিলেন। তিনি চিঠি লিখে মুখ্য নির্বাচন অফিসারকে কিছু ব্যবস্থা নিতে বলেছিলেন। সেই কারণেই তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হলো। তাঁর পরিবর্তে স্বরাষ্ট্রসচিব পদের অতিরিক্ত দায়িত্ব সামলাবেন রাজ্যের মুখ্যসচিব মলয় দে।
অন্যদিকে, রাজ্য থেকে সরিয়ে দেওয়া হলো আইপিএস অফিসার রাজীব কুমারকে। কেন্দ্রের স্বরাষ্ট্র দফতরে তাঁকে বৃহস্পতিবার সকাল ১০ টার মধ্যে জয়েন করতে বলা হয়েছে। কলকাতার পুলিশ কমিশনার পদ থেকে তাঁকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছিলো আগেই। আজ নির্বাচন কমিশন এক বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে জানায়, তাঁকে এডিজি সিআইডি পোস্ট থেকে সরিয়ে নেওয়া হলো। তাঁকে যুক্ত করা হলো কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকে।
উল্লেখ্য, নির্বাচন ঘোষণার আগেই রাজীব কুমারকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। রাজীব কুমারকে লালবাজার থেকে সরিয়ে ভবানী ভবনে পাঠায় নবান্ন। তাঁর স্থলাভিষিক্ত হন অনুজ শর্মা। কিন্তু ভোট ঘোষণা হতেই আইন-শৃঙ্খলার পুরো বিষয়টি চলে যায় কমিশনের নিয়ন্ত্রণে। ভোটের চারদিন আগে এই সিদ্ধান্তের ফলে, কলকাতার ভোটের দিন শহরে থাকতে পারবেন না রাজীবকুমার।
অন্যদিকে নজিরবিহীন ভাবে নির্বাচনী প্রচারের সময়সীমা কমিয়ে দিলো নির্বাচন কমিশন। মডেল কোড অব কন্ডাক্ট অনুযায়ী নির্বাচনের ৪৮ ঘণ্টা আগে প্রচার শেষ হতো। সেখানে নজিরবিহীনভাবে ৭২ ঘণ্টা আগেই রাজ্যের ৯টি কেন্দ্রে বৃহস্পতিবার রাতের মধ্যেই শেষ করতে হবে প্রচার এমনটাই জানিয়ে দিলো কমিশন। স্বাভাবিকভাবে প্রচার শেষ হওয়ার কথা ছিল শুক্রবার বিকেলে। কিন্তু এদিন আচমকাই এমন ঘোষণা করল নির্বাচন কমিশন। জানা গিয়েছে মঙ্গলবার অমিত শাহ-র রোড শো ঘিরে অশান্তির পরেই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন। অতএব বৃহস্পতিবার রাত দশটার পরে কলকাতা-সহ শেষ দফার নয় আসনের জন্য ভোটের প্রচার করা যাবে না। এই ঘোষার মাধ্যমে দেশে এই প্রথম কোনও রাজ্যে ৩২৪ ধারা প্রয়োগ করলো নির্বাচন কমিশন। দিল্লি থেকে উপ নির্বাচন কমিশনার সুদীপ জৈন সাংবাদিক সম্মেলন করে বুধবার একথা জানিয়েছেন।
Be the first to comment