শুধু প্রেমিকা নয়, তার মায়ের সঙ্গেও সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন অয়ন মণ্ডল। হরিদেবপুরের নিহত যুবকের বাবার দাবিতে চাঞ্চল্য। ত্রিকোণ সম্পর্কের খেসারত জীবন দিয়ে দিতে হল কিনা ওই যুবককে তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় নিহত যুবকের বান্ধবী, তার মা, বাবা, ভাই, ভাইয়ের বন্ধু-সহ মোট ছ’জনকে গ্রেপ্তার করেছেন তদন্তকারীরা।
সূত্রের খবর, বোন এবং মা দু’জনের সঙ্গে সম্পর্ক রাখে অয়ন, তা জানতে পারে কিশোরীর ভাই। সে তা মানতে পারেনি। তাই দশমীর রাতে বান্ধবীকে দিয়ে ফোন করিয়ে অয়নকে তাদের বাড়িতে ডেকে পাঠানো হয়। এরপর শুরু হয় বচসা। কথা কাটাকাটির মাঝে ভারী কোনও সামগ্রী দিয়ে অয়নের মাথায় আঘাত করে কিশোরীর ভাই। তাতেই রক্তাক্ত অবস্থায় লুটিয়ে পড়েন অয়ন। প্রাণ হারান ঘটনাস্থলেই।
এরপর শুরু হয় দেহ লোপাটের চেষ্টা। একটি পণ্যবাহী গাড়ি ভাড়া করা হয়। ওই গাড়িতে তোলা হয় অয়নের দেহ। এরপর ত্রিপল দিয়ে দেহ ঢেকে দেওয়া হয়। হরিদেবপুরের ২৫ কিলোমিটার দূরে দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার মগরাহাট পুলিশ ক্যাম্পের পাশে নির্জন জায়গায় দেহ ফেলা হয়। মোবাইলটি ফেলে দেওয়া হয় নেপালগঞ্জে।
অয়নের বন্ধুদের একাংশের মতে, প্রেমিকাকে বিয়ে করবে বলে অয়ন মাস তিনেক আগে অ্যাপবাইক চালানোর কাজ শুরু করে। বাবার চায়ের দোকান। মেয়েটির প্রেমিকার বাবা-মা বিভিন্ন দালালির কাজ করে। দু’জনেরই ভাইও রয়েছে। মেয়েটির বাড়ির লোকজন ইদানীং অয়নকে পছন্দ করছিল না। ফলে সম্পর্ক কিছুটা শিথিল হলেও মেলামেশা ছিল। দশমীর রাতে মেয়েটিই অয়নকে ডেকে পাঠিয়েছিল। তবে তারপর আর কী হয় সে বিষয়ে বন্ধুবান্ধবরা কেউ কিছু জানেন না।
হরিদেবপুর থানার পুলিশের বিরুদ্ধে কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগ তুলেছে অয়নের পরিবার। প্রতিবাদে শুক্রবার বিকেল থেকে স্থানীয় বাসিন্দারা প্রেমিকা ও তার বাবা-মাকে গ্রেপ্তারের দাবিতে হরিদেবপুর থানা ঘেরাও করেন। পুলিশ ওই তিন জনকে থানায় নিয়ে এলেও বিক্ষোভ থামেনি। অয়নের বান্ধবীর বাড়িতেও চলে ব্যাপক ভাঙচুর। সবমিলিয়ে শনিবারও চাপা ক্ষোভে ফুঁসছে হরিদেবপুর।
Be the first to comment