অযোধ্যার প্রায় ১৩৮ টি পুরনো বিল্ডিং ভেঙে ফেলার নির্দেশ দিল অযোধ্যা পুরসভা। যার মধ্য রয়েছে বহু প্রাচীন মন্দিরও। যার মধ্যে রয়েছে চতুর্ভুজ মন্দির, শ্রী রাম নিবাস, রামায়ণ ভবন, বেটিয়া মন্দির, হনুমান ভবন, শিশ মহল প্রভৃতি।
অযোধ্যার মেয়র হৃষিকেশ উপাধ্যায় জানান, ১৩৮ বিল্ডিং চিহ্নিত করা হয়েছে। এক একটির বয়স প্রায় ৫০০ থেকে ৬০০ বছর পেরিয়ে গেছে। বয়সের ভারে সেগুলি বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে। যেকোনও মুহূর্তে ভেঙে পড়তে পারে। বাধ্য হয়েই সেগুলি ভেঙে ফেলার নির্দেশ ধরানো হয়েছে। এর মধ্য অনেক ঐতিহাসিক মন্দিরও রয়েছে। রাজ্যসরকারকে অনুরোধ করা হবে, যাতে সেগুলো পুনর্নির্মাণ করে পূর্বের অবস্থায় ফিরিয়ে আনা যায়।
তবে, অনেকগুলি মন্দির সংস্কারের বাইরে চলে গেছে, ভেঙে ফেলে নতুন করে তৈরি করা ছাড়া উপায় নেই। সেজন্য বিপুল অর্থের প্রয়োজন। সেটাও মেনে নিয়েছেন তিনি। এদিকে, যেভাবে হোক রমন্দির সংস্কার করে সংরক্ষণের দাবি কয়েকটি হিন্দু সংগঠন। সূত্রের খবর, শুধুমাত্র অর্থের অভাবেই ধ্বংসাবশেষে পরিণত হয়েছে মন্দির নগরীর বহু ঐতিহাসিক মন্দির। প্রতিটি রাস্তাতেই আকছার চোখে পড়বে এই দৃশ্য।
৫০০ বছরের পুরনো চতুর্ভুজ মন্দিরের মহন্ত বলরামদাস জানান, আমাদের কাছে সংস্কার করার মতো টাকা নেই। তবু সরকারের কাছে অনুরোধ করব সংস্কারের আর্থিক সাহায্যের জন্য। নতুবা এএসআইয়ের হাতে তুলে দিক। তারাই সংরক্ষণ করবে। রাম জন্মভূমি ন্যাসের মহন্ত বলরাম দাসের দাবি, ভেঙে ফেলা যাবেনা এই ঐতিহাসিক মন্দির। যেভাবেই হোক সরকার সংরক্ষণ করবে।
Be the first to comment