বিক্ষোভকারীদের হাত থেকে বাবুলকে উদ্ধার করতে যাদবপুরে রাজ্যপাল, চলছে বিক্ষোভ

Spread the love

বাবুল সুপ্রিয়কে হেনস্থার ঘটনায় আগেই তলব করেছিলেন উপাচার্যকে ৷ ফোন করেছিলেন মুখ্যসচিবকেও ৷ এবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে গেলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় ৷ তাঁর গাড়ির সামনেও বিক্ষোভ দেখানো হয় ৷ এর মাঝেই রাজ্যপালের কাছে পৌঁছন বাবুল সুপ্রিয় ৷ ওঠেন তাঁর গাড়িতে ৷ কিন্তু, বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস থেকে বের হতে গেলে গাড়ি ঘিরে দেখানো হয় বিক্ষোভ ৷ রাজ্য়পালের গাড়ির সামনে শুয়ে পড়েছেন বিক্ষোভকারীরা৷ ফলে গাড়ি আটকে রয়েছে এখনও ৷ গর্ভনরের পাইলট কারও আটকে রয়েছে বিক্ষোভের মুখে ৷

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে বাবুল সুপ্রিয়কে হেনস্থা করা হয়েছে, এই খবর পেয়েই উপাচার্য সুরঞ্জন দাসকে তলব করলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় ৷ বাবুল সুপ্রিয়কে আটক করে রাখার ঘটনায় উদ্বেগপ্রকাশ করেন তিনি ৷ কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বিশ্ববিদ্যালয়ে যাচ্ছেন জেনেও কেন এই ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটল? সে বিষয়ে তদন্তের জন্য উপাচার্যকে নির্দেশ দেন বলে রাজভবন সূত্রে খবর ৷ এদিকে মুখ্যসচিবকেও তিনি ফোন করেন বলে সূত্রের খবর ৷ উপযুক্ত পদক্ষেপ গ্রহণ করার কথাও বলেন ৷ শুধু বাবুল সুপ্রিয়ই নয়, বিক্ষোভের মুখে পড়েন ফ্যাশন ডিজাইনার তথা বিজেপি নেত্রী অগ্নিমিত্রা পালও।

এদিকে, নজিরবিহীন ভাবে কোনও কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে এভাবে যাদবপুর বিশ্ববিদ্য়ালয় চত্বরে আটকে রাখা হলো ৷ পরিস্থিতি ক্রমশ উত্তপ্ত হচ্ছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্য়ালয়ে ৷ এর আগে, হেনস্থার মুখে পড়েন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ৷ নকশালপন্থীদের হাতে আক্রান্ত হন তিনি। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে। বাবুল সুপ্রিয়র কার্যত জামা-কাপড় ছিঁড়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ ওঠে ৷ এমনকি চুলের মুঠি ধরে মারধর করারও অভিযোগ ওঠে। পরিস্থিতি এতটাই খারাপ হয় যে বাবুল সুপ্রিয় মাটিতে পড়ে যান বলেও খবর মেলে৷ চড়, ঘুষি, কিল মেরে চশমা খুলে দেওয়া হয় তাঁর।

ঘটনার সূত্রপাত বৃহস্পতিবার দুপুরে ৷ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ABVP-এর নবীন বরণ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়েছিলেন বাবুল সুপ্রিয় ৷ তখনই SFI ও অন্য সংগঠনগুলির বিক্ষোভের মুখে পড়েন তিনি ৷ গো ব্যাক স্লোগান তুলে লাল-কালো পতাকা নিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে ছাত্ররা ৷ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও অন্য আধিকারিকরা ঘটনাস্থলে গেলে তাঁদের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন বাবুল সুপ্রিয় ৷ কে পি বসু মেমোরিয়াল হলের সামনে তাঁকে লক্ষ্য করে বোতল ও ইট ছোড়া হয় ৷ ছাত্র সংগঠনের বিক্ষোভের মুখেই তিনি অনুষ্ঠানে যোগ দেন ৷

এই ঘটনার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সুরঞ্জন দাসকে দায়ি করেছেন বাবুল সুপ্রিয় ৷ ঘটনাস্থল থেকে তাঁকে চলে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করেন উপাচার্য ৷ কিন্তু, বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়তে রাজি হননি বাবুল। ঘটনা প্রসঙ্গে কলকাতা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার জাভেদ শামিম বলেন, কনভেনশনালি পুলিশ নিজে থেকে কোনও বিশ্ববিদ্যালয়ে যেতে পারে না ৷ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাদের সাহায্যের জন্য ডেকে পাঠালে তবেই তারা যেতে পারে ৷ তাই এক্ষেত্রে পুলিশের কিছু করার ছিল না ৷

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*