উত্তরপাড়া-বালির মানুষকে আক্ষরিক অর্থে ‘রিলিফ’ দিলেন বাবুল সুপ্রিয়। বাবুল বলেন, আজ নস্টালজিক দিন। আমি উত্তরপাড়ার ছেলে। এই স্টেশন দিয়ে আমি মা-ঠাকুমা যাতায়াত করতাম। আমি আজও পাড়ার ছেলে। স্মৃতি হাতড়াতে থাকেন বাবুল। বলেন, এখানে আমি বড় হয়েছি। সিনেমা দেখেছি। কচুরি খেয়েছি। এখানে জামা কাপড় বানাতাম। বাবা, মা, ঠাকুমা নিয়ে এখানে আমার যাতায়াত। এই স্টেশন, ট্রেন ধরতে আসা আমার কাছে অনেক স্মৃতি। “
আজ বাবুলের হাতেই উদ্বোধন হল বালিহল্টের লিফট। লিফটটা চালু হয়ে গেলে বহু মানুষের ভোগান্তি কমবে। বাবুলই জানালেন, ২ কোটি এই প্রকল্পের জন্য অনুমোদিত হয়েছিল। যদিও খরচ হচ্ছে ৮০ লাখ।
এ দিন গোটা অনুষ্ঠানটাতেই বাবুলের সঙ্গে দেখা গেল সদ্য তৃণমূল ছেড়ে আশা বৈশালী ডালমিয়াকে। বৈশালীর কথা শোনা গেল বাবুলেরও মুখে। বললেন, আমি এখানের এম পি, এম এল এ নই। বৈশালী আগে থেকে আমাদের সাহায্য করেছে। অভিষেক মনু সিঙ্ঘভিকে আমন্ত্রণ করেছিলাম। কিন্তু উনি এখানে এলেন না। ভালো কাজে আসেন না। ভাবেন বিরোধী দল মাইলেজ পাবে।
বাবুল চাইছেন কোনও দলমতের সমর্থক হয়ে নয়, সাধারণ মানুষ এই সুবিধে পান। তিনিই জানালেন, এই কাজে ছাড়পত্র দিয়েছে। লিফটে এসি থাকছে। স্টেনলেস স্টিল দিয়ে বানানো হবে। ফলে পরিষ্কার থাকবে লিফটটি। এসব বলতে বলতেই আবেগপ্রবণ বাবুল বলছিলেন, “মা থাকলে আজ খুশি হতেন। রেলমন্ত্রী আমাকে সাহায্য করেছেন।”
কথাবার্তার শেষে নাম করে তৃণমূলকে বিঁধতেও ভুললেন না বাবুল। বললেন প্রসূন বন্দোপাধ্যায় সাংসদ, এখানে এই কাজটা করলেন না। ওনাকে ফোন করব। আসলে ভালো করতেন। উনি করতে পারেন নি বলেই কি লজ্জায় আসেননি?
Be the first to comment