‘‌যে যার নিজের মতো করে দেখেছেন’‌, দুই ‘‌ঘোষ’‌–কে একযোগে আক্রমণ বাবুলের

Spread the love

বাবুল সুপ্রিয় চ্যাপ্টার কিছুতেই ক্লোজ হচ্ছে না। রাতে টেলিফোন করে তাঁকে ইস্তফা দিতে নিষেধ করেন জেপি মড্ডা। কিন্তু তাতেও চ্যাপ্টার ক্লোজ হয়নি। বিজেপি সূত্রে খবর, অনেকদিন ধরে মনে ক্ষোভ জমছিল বাবুলের৷

একদিকে একুশের নির্বাচনে পরাজয়, অন্যদিকে মন্ত্রিত্ব হারানোর ধাক্কা সবমিলিয়ে ক্ষোভ তৈরি হয়েছিল বাবুল সুপ্রিয়র৷ শনিবার থেকে নিজের একের পর এক ফেসবুক পোস্টে বাবুল ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন৷ দিলীপ ঘোষের সঙ্গে আরও একবার তাঁর মতবিরোধ প্রকাশ্যে চলে এল।

বাবুলের ফেসবুক পোস্ট ঘিরে দিলীপ ঘোষের খোঁচা, ‘‌কে কোথায় যাবেন, কোন দলে যাবেন, রাজনীতি করবেন কি করবেন না, তা নিয়ে আমি কী বলব!’‌ তা নিয়ে রবিবার ভোরে ফের ফেসবুকে সরব হয়েছেন বাবুল। সেখানে দিলীপ ঘোষের নামও যেমন রয়েছে, তেমন আক্রমণ করেন কুণাল ঘোষকেও।

ঠিক কী লিখেছেন বাবুল সুপ্রিয়?‌ এদিন বাবুল লেখেন, ‘‌এই ধরণের ব্যক্তিত্ব বা মন্তব্যের সঙ্গে তো আর রোজ রোজ ডিল করতে হবে না। কত পজিটিভ এনার্জি বাঁচবে বলুন তো যেটা অন্য সৎ কাজে লাগাতে পারবো। নিচে দুটো টাটকা উদাহরণ দিলাম… প্রথম উক্তিটির সৌজন্য শ্রী কুনাল ঘোষ আর দ্বিতীয়টির, শ্রীমান দিলীপ ঘোষ।’‌

বাবুলের ইস্তফার খবরে তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষ লেখেন, ‘‌লোকসভা চলছে। স্পিকার বসে আছেন। সেখানে ইস্তফা না দিয়ে ফেসবুকে নাটক। রাজনীতি ছাড়ার ইচ্ছে নেই। দৃষ্টি আকর্ষণের মরিয়া চেষ্টা। শোলেতে জলের ট্যাঙ্কে উঠে ধর্মেন্দ্রর আত্মহত্যার হুমকির মতো। আসলে উনি গান করতেন। এখন নাটক করছেন।’‌

এতকিছুর পরও বাবুলের ফেসবুক পোস্ট নিয়ে বিতর্ক থামছে না। কারণ বাবুল লিখেছেন, ‘‌কোনও সৈন্য–সামন্ত, সরকারি টাকায় সিকিউরিটি থাকবে না| ভোটের রাজনীতিতে না থাকলে কারও স্বার্থে তো ঘা লাগবে না তাই (হয়তো) আমার কাজও কেউ রাজনৈতিক কারণে আটকাবেনা। যে যার নিজের মতো করে দেখেছেন, বুঝেছেন, সমর্থন করেছেন, তীব্র বিরোধিতা করেছেন, প্রশ্ন করেছেন, কৈফিয়ত চেয়েছেন, কিছু মানুষ নিজেদের রুচি অনুযায়ী ভাষার’ ব্যবহার করেছেন—সবটাই শিরোধার্য। কিন্তু আপনাদের প্রশ্নের জবাব আমি কাজেও তো দিতে পারি| তার জন্য মন্ত্রী বা সাংসদ থাকার কি দরকার|’‌

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*