ভবানীপুরের বিজেপি প্রার্থী তিনি নন। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের খাসতালুকে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়লেন বাবুল সুপ্রিয়। রাত তখন অনেক হয়েছে। ধাবায় খেতে গিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা আসানসোলের সাংসদ। এরপরই ঘটে বিপত্তি! সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রের পদ্ম-প্রার্থী না হয়েও মহাবিপাকে পড়তে হয় তাঁকে। বাবুলকে দেখেই এলাকার তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা ‘খেলা হবে’ স্লোগান তুলে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। গোটা ঘটনা ক্যামেরাবন্দি করে সোশ্যাল ওয়ালে ছড়িয়ে দিয়েছেন বিজেপির তারকা প্রার্থী। কিন্তু প্রার্থী না হওয়া সত্ত্বেও কেন এই বিক্ষোভ?
টালিগঞ্জ কেন্দ্র থেকে বিজেপি প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দিতা করছেন বাবুল সুপ্রিয়। শিয়রেই ভোট। দ্বিতীয় ও চতুর্থ দফার প্রার্থী ঘোষণার পর থেকেই রাতারাতি সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রে তাঁর নামে দেওয়াল লিখন সেরে ফেলেছে গেরুয়া শিবিরের কর্মী-সমর্থকরা। হাতে সময়ও কম। তাই ইতিমধ্যেই টালিগঞ্জে প্রচার শুরু করে দিয়েছেন বাবুল সুপ্রিয় কারণ, তাঁর প্রতিপক্ষ তৃণমূলের পোড় খাওয়া নেতা তথা মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। কাজেই আসানসোলে দাপট হলেও টালিগঞ্জের আসন দখল বাবুলের জন্য যথেষ্ট চ্যালেঞ্জিং। বৃহস্পতিবারও প্রচার করতে গিয়েছিলেন নিজস্ব কেন্দ্রে। এরপরই ভোটপ্রচার সেরে রাতে ভবানীপুরের হরিশ মুখার্জী রোডের বলওয়ান্ত সিং ধাবায় খেতে যান তিনি। আর সেখানেই গিয়েই বিক্ষোভের মুখে পড়েন।
টালিগঞ্জের বিজেপি প্রার্থীকে দেখে তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকরা বিক্ষোভ শুরু করেন। শুধু তাই নয়, হুঁশিয়ারি দেগে ‘খেলা হবে’ স্লোগানও তুলতে দেখা যায় তাঁদের। কথা বলে, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করলেও হালে পানি পাননি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বিজেপি সাংসদ। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছয় যে, খাবার খাওয়া শিঁকেয় তুলে তখনই নিরাপত্তীরক্ষীদের নিয়ে ধাবা ছেড়ে বেরতে বাধ্য হন বাবুল সুপ্রিয়।
ভবানীপুরে বিক্ষোভের মুখে পড়ে রাজ্যের শাসকদলকে বিঁধতেও ছাড়েননি বাবুল সুপ্রিয়। তাঁর মন্তব্য, “প্রচারের পর বলবন্ত সিং ধাবায় গভীর রাতে চা খেতে গিয়েছিলাম। কিন্তু গাড়ি থেকে নামতেও পারিনি। তার আগেই উত্তর কলকাতার যুব তৃণমূল সেক্রেটারি ওয়াসিম আহমেদ এবং আরও কয়েকজন এসে স্লোগান দিতে শুরু করে।” এরপর তৃণমূলকে পাল্টা চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে বলেন, “এই সব কিছুর শেষ হবে ২মে। খেলা নয়, নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে এবার উন্নয়ন হবে।”
Be the first to comment