ফের করোনা আক্রান্ত প্রাক্তন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়। এই নিয়ে তিনবার করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হলেন তিনি। একই সঙ্গে আক্রান্ত বাবুলের বাবা, স্ত্রী ও একাধিক কর্মচারী। মঙ্গলবার নিজেই টুইট করে এই ঘোষণা করেছেন তৃণমূল নেতা বাবুল সুপ্রিয়।
এ দিন একাধিক টুইটে ককটেল থেরাপির অগ্নিমূল্য নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বাবুল। একই সঙ্গে তাঁর আবেদন বাজারে এখন ককটেল ইনজেকশন অমিল। কিন্তু এটা প্রয়োজন। তাই টিকাকরণের সঙ্গে এই ককটেল ইনজেকশন যেন সরকারি হাসপাতালে সরবরাহ করা। দেশে করোনা বাড়লেও বহু মানুষের মধ্যেই এখনও অসচেতন। অনেকেই মাস্ক পড়ছেন না। এই নিয়েও চিন্তা প্রকাশ করেছেন প্রাক্ন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী।
টুইটে বাবুল সুপ্রিয় লিখেছেন, ‘আমি, আমার বাবা, স্ত্রী এবং কয়েকজন কর্মী ইতিমধ্যেই কোভিড পজিটিভ। আমার বাবার বয়স ৮৪ বছর। এই মুহূর্তে তাঁর জরুরিভিত্তিতে ককটেল অ্যান্টিবডি ইনজেকশনের প্রয়োজন। তবে বাজারে সেটি সহজে মিলছে না। আর্থিকভাবে পিছিযে থাকারা এই ডোজ কীভাবে কিনতে পারে?’
পরের টুইটে তৃণমূল নেতা বাবুল লিখেছেন, ‘ভ্যাকসিনের দু’টি ডোজ নিয়েও যখন মানুষের শরীরে পর্যাপ্ত অ্যান্টিবডি তৈরি হচ্ছে না, তখন সরকারের উচিত টিকাকরণের সঙ্গেই এই ককটেল ইনজেকশন সরকারি হাসপাতালে সরবরাহ করা। টিকাকরণ আবশ্যিক কিন্তু ককটেল ইনজেকশনই এখন সময়ের চাহিদা।’ এই টুইটটি তিনি কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডব্য ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে ট্যাগ করেছেন।
অন্য একটি টুইটে আসানসোলের প্রাক্তন সাংসদ লিখেছেন যে, ‘এই নিয়ে তৃতীয়বার করোনায় আক্রান্ত হলাম। প্রথমবার ২০ নভেম্বর আমার শরীরে থাবা বসিয়েছিল করোনা। তখন করোনায় আমার মাকে হারিয়েছিলাম। কোনওমতে বাবাকে বাঁচাতে পেরেছিলাম। তারপর ফের ২১ এপ্রিল ফের করোনায় আক্রান্ত হই। পজিটিভ হওয়া নিয়ে চিন্তিত নই কিন্তু, যারা আমার সংস্পর্শে এসেছেন তাঁদের নিয়ে উদ্বিগ্ন। জানি না কার থেকে কার মধ্যে ভাইরাস ছড়াচ্ছে। খুব কম সংখ্যক মানুষই মাস্ক পরছেন।’
Be the first to comment