প্রথম একাদশে খেলতে চেয়েই দলবদল বাবুল সুপ্রিয়র

তাঁর বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেওয়া সিদ্ধান্ত গত চারদিনের আলোচনার ফল ৷ রবিবার সাংবাদিক বৈঠক করে এমনটাই জানালেন সদ্য তৃণমূলে যোগ দেওয়া সাংসদ বাবুল সুপ্রিয় ৷ জানালেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায় তাঁকে কাজ করার সুযোগ দেবেন, সেই প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন বলেই ফের রাজনীতির মূলস্রোতে ফিরে এলেন ৷

সেই সঙ্গে তিনি জানিয়ে দিলেন, ‘‘আমি নিচের স্তরে খেলব না ৷ প্লেয়িং ইলেভেন খেলতে চাই ৷ প্রয়োজনে ছোট দলের হয়ে কাজ করবেন ৷ কার্যত স্পষ্ট করে দিলেন, বিজেপিতে তাঁর ক্ষমতা ছাঁটার কারণেই দলত্যাগ ৷ বাবুল জানান, বুধবার দিল্লিতে গিয়ে লোকসভার অধ্যক্ষ ওম বিড়লার সঙ্গে দেখা করে সাংসদ পদে ইস্তফা দেবেন তিনি ৷

প্রসঙ্গত, শনিবার দুপুরে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে বিজেপি থেকে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন আসানসোলের সাংসদ বাবুল সুপ্রিয়। আর তার সেই যোগদানের পরেই হাজার সমালোচনা এবং ব্যঙ্গ ভেসে এসেছে বাবুলের বিরুদ্ধে ৷ রবিবার সাংবাদিক বৈঠক করে এবার নিজের অবস্থান স্পষ্ট করলেন তিনি ৷ সেই সঙ্গে বুঝিয়ে দিলেন, তিনি পিছনের সারির নেতা হয়ে থাকতে চান না ৷ তাই সাধারণ মানুষের হয়ে কাজ করতে তুলনায় ছোট রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি হিসেবে, সামনের সারি থেকে লড়াই করবেন বাবুল ৷ তাই মোহনবাগান এবং ইস্টবেঙ্গলের তুলনা টেনে বললেন, তাঁকে প্লেয়িং ইলেভেন থেকে বাদ দিয়ে জুনিয়র দলে পাঠানো হয়েছিল ৷ কিন্তু, তিনি প্লেয়িং ইলেভেনে খেলতে চান ৷

প্রসঙ্গত, বাংলার বিধানসভা ভোটে ভরাডুবির পর বাবুল সুপ্রিয়’কে কার্যত কোণঠাসা করে দেওয়া হয়েছিল বিজেপিতে ৷ এমনকি মোদির দ্বিতীয় মন্ত্রিসভার প্রথম রদবদলে বাবুল সুপ্রিয়’কে তাঁর মন্ত্রিত্ব হারাতে হয় ৷ যার পর সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন তিনি ৷ যেখানে দিলীপ ঘোষকে সরাসরি আক্রমণ করেছিলেন বাবুল ৷ বিজেপির এই গৃহযুদ্ধ থামাতে মাঠে নেমেছিলেন স্বয়ং বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা ৷ তাঁর হস্তক্ষেপে তখনের মতো বাবুলকে রোখা গিয়েছিল ৷ কিন্তু, এবার তিনি আর সাংসদ পদে ইস্তফা দিলেন না ৷ সরাসরি বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে ফিরে এলেন ৷

সেই সঙ্গে বাবুল জানালেন, বিজেপিতে থাকলেও তিনি, কার্যত রাজনৈতিক সন্ন্যাসে চলে গিয়েছিলেন ৷ কিন্তু, বিগত ৩-৪ দিনে তাঁর সঙ্গে তৃণমূল সুপ্রিমো এবং তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেকের বিস্তর আলোচনা হয়েছে ৷ তাঁদের সঙ্গে কথা বলে এবং সেই আলোচনায় সন্তুষ্ট হয়েই তিনি তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন এবং মূলধারার রাজনীতিতে ফিরে এসেছেন ৷ তবে, তাঁর তৃণমূলে যোগ দেওয়ার ক্ষেত্রে অনুঘটকের কাজ করেছেন তৃণমূলের জাতীয় মুখপাত্র ডেরেক ও’ব্রায়েন ৷ আর সাংবাদিক বৈঠকে যা একাধিকবার বলতে শোনা গেল আসানসোলের সাংসদকে ৷