স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে আবারও মিলল সাফল্য। এই সাফল্যের স্বীকৃতি দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। শিশুমৃত্যুর হার বামফ্রন্ট আমলের তুলনায় মমতা ব্যানার্জির সরকারের আমলে অনেকটা কমেছে। ২০১১ সালে যখন মমতা সরকার গঠন করেন, তখন এই হার ছিল হাজারে একত্রিশ। অর্থাৎ প্রতি এক হাজার জন শিশু ভূমিষ্ঠ হলে তার মধ্যে ৩১ জন শিশুর মৃত্যু হতো। এই বিষয়টি নিয়ে গভীরভাবে চিন্তাভাবনা মুখ্যমন্ত্রী তথা স্বাস্থ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। এই হার যেভাবেই হোক কমাতে হবে। এসএনসিইউ, এনআইসিইউ, এসএনএসইউ প্রভৃতি অত্যাধুনিক চিকিৎসা পরিকাঠামোর সাহায্যে সদ্যোজাত শিশুদের কীভাবে বাঁচিয়ে রাখা যায় তার চেষ্টা করা হয়। অবশ্য মমতা ব্যানার্জি একটি কথা প্রায়শই বলেন, কিছু ক্ষেত্রে এতই অপুষ্ট ও অসুস্থ শিশু জন্মায় যে, সেক্ষেত্রে কিছু করার থাকে না। তবে বিশেষ প্রচেষ্টার মাধ্যমে ২০১৬ সালে এই শিশুমৃত্যুর হার কমে হয়েছিল হাজারে ২৬। দুর্গাপুজোর সময় কেন্দ্রীয় রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে। সেখানে রাজ্যের জন্য সুখবর হলো যে, এই শিশুমৃত্যুর হার কমে এখন সংখ্যাটি হয়েছে হাজারে ২৫। গ্রামবাংলায় এই হার ২৫, শহরে ২২। যেভাবেই হোক ২০৩০ সালের মধ্যে শিশুমৃত্যুর হার ১ শতাংশের নিচে আনাই সরকারের লক্ষ্য। মুখ্যমন্ত্রী অবশ্য বলেন, এই হার শূন্য হলেই আমি সবচেয়ে খুশি হতাম। শিশুমৃত্যুর হার কমানোর জন্যই মুখ্যমন্ত্রী তৈরি করেছিলেন বিশেষ টাস্ক ফোর্স। এই টাস্ক ফোর্সের চেয়ারম্যান ত্রিদিব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, পশ্চিমবঙ্গে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে প্রসব, মায়েদের সার্বিক পুষ্টির মান বৃদ্ধি এবং বিভিন্ন অত্যাধুনিক পরিকাঠামো হওয়ার ফলেই এই সাফল্য পাওয়া গেছে।
Be the first to comment