বাগডোগরা বিমানবন্দরে পৌঁছতেই গ্রেপ্তার হলেন বিমলপন্থী মোর্চার দুই কেন্দ্রীয় নেতা। তবে, সঠিক কী অভিযোগের ভিত্তিতে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে তা এখনও স্পষ্ট করে কিছু জানা যায়নি। দিল্লি থেকে দার্জিলিং ফিরছেন বিমল গুরুং। এমন খবর চাউর হতেই বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয় বাগডোগরা বিমানবন্দর। উপস্থিত হয়েছিলেন জেলা পুলিশ ও মেট্রোপলিটন পুলিশের শীর্ষ কর্তারা। যদিও শেষ অবধি দিল্লি থেকে দার্জিলিং ফেরার বিষয়ে পিছু হঠেন বিমল গুরুং।
তবে, তাঁর দুই অনুগামী তথা মোর্চার কেন্দ্রীয় নেতা রোশন রাই ও যোগেন প্রধান দিল্লি থেকে দার্জিলিঙের উদ্দেশে রওনা দিয়েছিলেন। তাঁদের আসার খবর পুলিশের কাছে ছিল। এরপরই বাগডোগরা বিমানবন্দরে নির্দিষ্ট বিমান পৌঁছলে ওই দুই মোর্চা নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এদিকে বিমল গুরুং পাহাড়ে এলে হিংসা ছড়ানোর চেষ্টা হত। পাহাড়ে বিজেপি এবং তার সহযোগী মোর্চা ও GNLF-এর সমর্থিত প্রার্থী এমনিই জিতবেন। তাই অশান্তি এড়াতেই এদিন এলেন না গুরুং। বৃহস্পতিবার সাংবাদিক বৈঠক করে এমনই জানালেন গুরুংপন্থী মোর্চার প্রবক্তা বি পি বাজগাঈ। শিলিগুড়ির কাছে মাটিগাড়ায় একটি হোটেলে সাংবাদিক বৈঠকে আজ হাজির ছিলেন গুরুংপন্থী নেতারা। তাঁরা বলেন, গুরুংকে স্বাগত জানাতে আমরা কর্মী-সমর্থকদের বার্তা দিয়েছিলাম বিমানবন্দরে আসার জন্য। কিন্তু খবর ছড়িয়ে পড়তেই বহু গুরুংপন্থী সাধারণ মানুষও চলে আসেন। উল্টোদিকে বিনয়পন্থী মোর্চার নেত্রী ও GTA প্রশাসনিক বোর্ডের সদস্য ছিরিং ডাহালও ছিলেন সেখানে। ফলে দুই পক্ষের মধ্যে কোনও কারণে গন্ডগোল লাগলে তা হিংসার রূপ নিত। সেই কারণেই দুপুরে মোর্চার সেন্ট্রাল কমিটি সিদ্ধান্ত নেয় আপাতত আসবেন না বিমল গুরুং।
গুরুংপন্থী মোর্চা নেতারা বলেন, আজ বিমল গুরুং আসতে চেয়েছিলেন শুধুমাত্র সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে হাইকোর্টে পিটিশন জমা দেওয়ার জন্য। এটা কোনও ব়্যালি বা সমাবেশ ছিল না। নিরাপত্তার কারণে আমরা চেয়েছিলাম রাতটুকু গুরুং দার্জিলিঙে কাটান। কিন্তু গুরুং আসবেন এই খবর ছড়ানোয় যা যা ঘটনা ঘটতে থাকে, তাতে দার্জিলিঙে তাঁর থাকা নিরাপদ ছিল না। তাই আমরা সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করি। ফের কবে গুরুং আসবেন তা আইনি বিশেষজ্ঞরা আলোচনা করে ঠিক করবেন।
Be the first to comment