বিজয়গড়ের পর এ বার করোনার কবলে বাঘাযতীন বাজার। ভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে দক্ষিণ কলকাতার বৃহত্তম মাছের পাইকারী বাজার তিনদিনের জন্য বন্ধ রাখার নির্দেশ দিল কলকাতা পুরনিগম।
চার ব্যবসায়ীর শরীরে কোভিডের সংক্রমণ ধরা পড়ার পরই বাঘাযতীনের মাছ বাজার ও তার সংলগ্ন সবজি বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। শুধু মাছ-সবজিই নয়, বাজারের সমস্ত দোকানও বন্ধ রাখতে বলেছে পুরসভা। কেএমসি বাজার দফতরের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, ‘তিন দিন ধরে আমরা বাজার সংক্রমণমুক্ত করার কাজ করব। তারপর বাজার খোলার অনুমতি দেওয়া হতে পারে। তবে আগামী কয়েকদিনে ওই এলাকায় আরও কারও শরীরে ভাইরাসের সংক্রমণ দেখা দিলে অবশ্য আমরা বাজার খোলার অনুমতি দেব না।’
করোনার আতঙ্ক চেপে বসেছে বাজারের অন্যান্য ব্যবসায়ীদের মধ্যে। প্রায় ২০০ ব্যবসায়ী সম্বলিত বাঘাযতীন বাজার কমিটির এক সদস্য জানালেন, সংক্রমণের ভয়ে আগেই দোকানপাট বন্ধ করে দিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। তাঁর কথায়, ‘পুলিশ ও পুর প্রশাসন আমাদের বাজার বন্ধ রাখার পরামর্শ দিয়েছে। তবে বাজারের বাইরের দোকান খোলা রয়েছে। তবে ভয়ের কারণে অধিকাংশ ব্যবসায়ী নিজে থেকেই দোকান বন্ধ করে দিয়েছে।’
গত দু সপ্তাহে টালিগঞ্জ-যাদবপুর এলাকার সবচেয়ে বেশি কোভিড সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে বাঘাযতীন সংলগ্ন বিজয়গড়ে। স্থানীয়দের চাপেই মঙ্গলবার বিজয়গড়ের সব বাজার দোকান বন্ধ করে রাখা হয়। দু জন ব্যবসায়ীর করোনা ধরার পড়ার পর থেকে আতঙ্কের কারণে স্বেচ্ছায় বিজয়গড় বাজায় বন্ধ করে দেন ব্যবসায়ীরা। তবে আতঙ্ক এখনও কাটেনি। কারণ গত কয়েকদিনে বিজয়গড়ের একটি ছোট্ট এলাক থেকেই ৩০ জনের শরীরে মিলেছে কোভিড ১৯। সেই কারণেই যে দোকানপাট খোলা ছিল, সেগুলিকেও জোর করে বন্ধ করে দিয়েছেন স্থানীয়রা। শুধুমাত্র কয়েকটি ওষুধের দোকান ও মুদি দোকান খোলা রয়েছে।
Be the first to comment