বুধবার ফিরবেন, বলেছিলেন তাঁরা ৷ পরিবারের জন্য কেনাকাটাও করে ফেলেছিলেন ৷ প্রিয়জনদের বাড়ি ফেরার অপেক্ষায় দিন গুনছিলেন রফিক, নইমুদ্দিনের বাড়ির লোকজন ৷ রফিকরা ফিরলেন বৃহস্পতিবার ৷ কিন্তু কফিনবন্দী হয়ে ৷
গোটা গ্রামটা যেন থমথমে। শোকের অন্ধকারে ডুবে। শেষবারের মতো রফিক, কামারুদ্দিনের দেখতে রাত জেগে বাড়ির উঠোনে বসে পরিবার ৷ ঘুম নেই গ্রামবাসীদের চোখেও। মাঝে মাঝে শুধু খবর আসছে, কাশ্মীর থেকে রওনা দিয়েছে মৃতদেহ ৷ বুধবার রাত ১১টা নাগাদ তিন শ্রমিকের মৃতদেহ কলকাতা বিমানবন্দরে পৌঁছায় ৷ ১২টা নাগাদ বাকি দু’জনের ৷
রাত পেরিয়ে ভোর ৷ যদিও স্বজন হারানোর অন্ধকারে তখনও ডুবে বাহালনগর ৷ গ্রামের পথে শববাহী গাড়িতে ফিরছে নইমুদ্দিন ,মুরশলিম, কামারুদ্দিনরা ৷ আর স্থির থাকতে পারেনি কেউ ৷ গাড়ি থামার আগেই ঘিরে ধরেছে তারা ৷ কেউ গাড়ির জানালা দিয়ে উঁকি মারছে ৷ কেউ মৃতদেহ নামাতে ব্যস্ত ৷ কেউ বা পাড়ারই ছেলেদের এভাবে দেখে খানিক থমকে ৷ মুখের উপর থেকে সাদা কাপড় সরিয়ে শেষবার দেখার চেষ্টা ৷ সময় শেষবারের জন্য বিদায় দেওয়ার ৷ কারণ এবার গ্রাম, বাড়ি থেকে রওনা দিলেও আর ফিরবে না মুরশলিম, কামারুদ্দিনরা ৷
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় কাশ্মীরে জঙ্গি হামলায় নিহত হন পাঁচ বাঙালি শ্রমিক ৷ দক্ষিণ কাশ্মীরের কুলগামে জঙ্গিদের গুলিতে তাঁদের মৃত্যু হয় ৷ নিহত শ্রমিকদের নাম শেখ নইমুদ্দিন, শেখ মুরশলিম, শেখ রফিকুল, শেখ রফিক ও শেখ কামারুদ্দিন ৷ প্রত্যেকেই পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদের সাগরদিঘির বাসিন্দা ৷ জঙ্গি হামলায় জখম হন জহিরুদ্দিন সরকার ৷ তাঁর হাতে গুলি লাগে ৷
Be the first to comment