শোভন চট্টোপাধ্যায়ের বসত বাড়ি কিনে নিলেন বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। বাড়ির মালিকানা পেয়েই তাঁর রত্নাকে হুঁশিয়ারি, ‘অবিলম্বে বাড়ি ছাড়ুন।’ এদিকে অনড় রত্নাও। তিনি স্পষ্ট জানালেন, ‘মৃত্যুর শেষ দিন পর্যন্ত বাড়ি ছাড়ব না। প্রয়োজনে আইনের দ্বারস্থ হব।’১৩৯ বি মহারানি ইন্দিরা দেবী রোডের বাড়িটির মালিক ছিলেন শোভন চট্টোপাধ্যায়। কলকাতার প্রাক্তন মেয়র জানান, তাঁর উপর বিভিন্ন মামলা চলছে। আর সেগুলির খরচ চালানোর ক্ষেত্রে অসুবিধায় পড়তে হচ্ছিল তাঁকে। এই পরিস্থিতিতে তাঁকে সাহায্য করতে এগিয়ে আসেন বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু, তিনি সেই সাহায্য নিতে চাননি তিনি। তাই বন্ধুকে সাহায্য করার জন্য কোটি টাকার বেশি অর্থ দিয়ে বাড়িটি কিনে নেন বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়।
এই প্রসঙ্গে বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘শোভন চট্টোপাধ্যায় আর বিধায়ক নেই। ফলে তাঁর আয়ের পথ ছিল ব্যবসা। মহেশতলায় গোডাউন থেকে যে ভাড়া তিনি পেতেন তা আর শোভনকে দেওয়া হচ্ছে না। এই বিষয়ে একাধিকবার তিনি রত্না চট্টোপাধ্যায়, দুলাল দাস এবং শুভাশিস দাসকে আইনি চিঠিও পাঠান। কিন্তু, কোনও সুরাহা হয়নি। এদিকে মামলা সহ অনেক খরচ তাঁকে বহন করতে হচ্ছে। তাই এই বাড়িটি তিনি আমাকে বিক্রি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। বাড়িটি খালি করার জন্য সঠিক সময়ে রত্নাকে নোটিশ পাঠানো হবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘রত্না যদি কোনওভাবে বাড়ি ছাড়তে না চান সেক্ষেত্রে আইনি পদ্ধতিতে ব্যবস্থা নেব।’
এদিকে পুরো ঘটনায় স্বামীর উপর ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন রত্না চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেছেন, ‘মৃত্যুর শেষ দিন পর্যন্ত এই বাড়ি ছাড়ব না। স্বামী অকর্মণ্য। লজ্জা হচ্ছে, না বুঝেশুনে ওঁকে বিয়ে করেছি। পৈত্রিক সম্পত্তি বিক্রি করে খেতে হচ্ছে। লজ্জায় আমার মাথা কাটা যাচ্ছে। বাড়ি যাতে না ছাড়তে হয় সেজন্য যাবতীয় আইনি পদক্ষেপ নেব।’
উল্লেখ্য, এই বাড়িতেই বর্তমানে ছেলে ঋষি এবং মেয়ে সুহানিকে নিয়ে থাকেন রত্না চট্টোপাধ্যায়। অতীতে একাধিকবার বাকযুদ্ধে জড়িয়েছেন বৈশাখী-রত্না। এবার নতুন করে বাড়ি বিক্রিকে কেন্দ্র করে শোভন -বৈশাখীর সঙ্গে সম্মুখ সময়ে যেতে প্রস্তুত রত্না, মনে করা হচ্ছে এমনটাই।
Be the first to comment