এবার রাজ্যপালের দ্বারস্থ হলেন বৈশালী ডালমিয়া

Spread the love

তৃণমূল বিধায়ক বৈশালী ডালমিয়ার ‘বেসুরো’ কথা আগেই শোনা গিয়েছে। শুক্রবার রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের সঙ্গে বৈঠকের পর তাঁর ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে গুঞ্জন তৈরি হয়েছে রাজনৈতিক মহলে।

শুভেন্দু অধিকারী, শীলভদ্র দত্তর পর এবার কি তাহলে বৈশালীও তৃণমূল ছাড়ছেন? এমন কথা উড়িয়ে দিচ্ছেন না বৈশালীর ঘনিষ্ঠরা।

যদিও বৈশালী নিজে এ প্রসঙ্গে নীরব। রাজভবন থেকে বেরনোর পর তিনি বলেন, আমার বাবার সঙ্গে রাজ্যপালের সম্পর্ক খুব ভাল ছিল। সেই সূত্রে আমি সৌজন্যমূলক সাক্ষাৎ করতে এসেছিলাম।

বালি বিধানসভা কেন্দ্রে তিনি কাজ করতে পারছেন না বলে বেশ কিছুদিন ধরে বৈশালী অভিযোগ করছেন। কয়েকদিন আগে তাঁর আপ্ত সহায়ককে তৃণমূলের কয়েকজন কাউন্সিলর মারধর করেছেন বলেও অভিযোগ। নিজের ক্ষোভের কথা দলের উচ্চ নেতৃত্বকে জানিয়ে লাভ হয়নি বলেও দাবি বৈশালীর। সম্প্রতি বালি কেন্দ্রে পোস্টার পড়ে, “আমরা বহিরাগত প্রার্থী চাই না। স্থানীয় প্রার্থী চাই।” তৃণমূলেরই নিচুতলার কর্মীরাই সেই পোস্টার দেয়। সে প্রসঙ্গে বৈশাখী জানিয়েছিলেন, ওরা তো প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকেও বহিরাগত বলে।

ভিডিও বার্তায় বালির বিধায়ক বলেন, এরা হামেশাই বলে আমাদের প্রধানমন্ত্রী বহিরাগত। বাইরে থেকে কেউ এলে বহিরাগত বলা হচ্ছে। ভারত একটা দেশ। প্রধানমন্ত্রী আমাদের পরিবারের প্রধান। তাঁকেই বহিরাগত বলা হচ্ছে। আমি তো সেখানে তুচ্ছ।

এরপর দলের সঙ্গে বেশ কিছুটা দূরত্ব বাড়ে বালির বিধায়কের। এমন আবহে রাজ্যপালের সঙ্গে সাক্ষাৎ নিয়ে রাজনৈতিক মহলে তীব্র গুঞ্জন শুরু হয়।

রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় নিজেই এদিন টুইট করে জানান, বালির বিধায়ক বৈশালী ডালমিয়ার সঙ্গে তাঁর বৈঠক হয়েছে। বৈঠকের ছবিও পোস্ট করেন ধনকড়।

তবে কি প্রসঙ্গে কথা হয়েছে তা জানাননি রাজ্যপাল। বৈশালীও বিষয়ে মুখ খোলেননি। বিধায়ক ঘনিষ্ঠরা জানিয়েছেন, তাঁর কেন্দ্রে যে অশান্তি চলছে এবং বারবার তৃণমূলের হাতেই তাদের নিগৃহীত হতে হচ্ছে, সে বিষয়ে রাজ্যপালের সঙ্গে কথা হয়েছে। তাহলে কি তিনিও তৃণমূল ছাড়ছেন? এ প্রসঙ্গে সরাসরি কোনও উত্তর মেলেনি।

https://twitter.com/jdhankhar1/status/1339884849557954560?s=08

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*