এক সপ্তাহ আগে মারা গিয়েছিল তাঁর দু’বছরের মেয়ে। এ বার মারা গেলেন বাবাও। সোমবার রাত ১টা নাগাদ তিরুবন্তপুরমের একটি হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে কেরলের বিখ্যাত বেহালাবাদক বালাভাস্করের।
বিয়ের পনেরো বছর পর সন্তান হয়েছিল বালাভাস্কর এবং তাঁর স্ত্রী লক্ষ্মীর। মেয়ের নাম রেখেছিলেন তেজস্বিনী। বিয়ের ১৫ বছর পর সন্তান হওয়ার আনন্দে এবং মেয়ের জন্য প্রার্থনা করতেই সপরিবারে ত্রিশূরে একটি মন্দির থেকে পুজো দিতে গিয়েছিলেন বালাভাস্কর। কিন্তু সেখান থেকে ফেরার পথেই সব শেষ।
পুজো দিয়ে ফেরার পথে তাঁদের গাড়ির চালক ঘুমিয়ে পড়েন। প্রচণ্ড গতিতে গাড়িটি গিয়ে ধাক্কা মারে রাস্তার ধারের একটি গাছে। গুরতর জখম অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় বালাভাস্কর, লক্ষ্মী, তেজস্বিনী এবং গাড়ির চালককে। সেখানেই দু’বছরের শিশুটিকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা। বালাভাস্করের স্ত্রী লক্ষ্মীর অবস্থাও ছিল আশঙ্কাজনক। গুরুতর ভাবে জখম হন বালাভাস্কর নিজেও। মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছিলেন তিনি। সোমবার মৃত্যু হয়েছে বছর চল্লিশের এই বেহালাবাদকের। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন সম্ভাব্য সবরকম ভাবেই চেষ্টা করা হয়েছিল বালাকে বাঁচানোর। কিন্তু শেষ্রক্ষা হয়নি। জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার তিরুবন্তপুরমেই বালাভাস্করের শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে।
চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন চিকিৎসায় ধীরে ধীরে সাড়া দিচ্ছেন বালাভাস্করের স্ত্রী লক্ষ্মী এবং গাড়ির চালক।
মাত্র সতেরো বছর বয়সেই বিখ্যাত হয়ে গিয়েছিলেন বালাভাসক। ওই বয়সেই একটি মালয়ালি ছবির জন্য সঙ্গীত পরিচালনা করেন তিনি। এরপর আর পিছন ফিরে তাকাতে হয়নি। একের পর এক মালয়ালি ছবিতে কাজ করেছেন বালাভাস্কর। লাইভ কনসার্ট আর ফিউসনের জন্য কেরলের বাইরেও বিখ্যাত হয়েছিলেন এই বেহালাবাদক।
Be the first to comment