রাজ্যের দুই কেন্দ্রের উপনির্বাচনেও শাসকদল তৃণমূলকেই ঢালাও সমর্থন করেছে জনতা। অভিজাত এলাকা বালিগঞ্জ এবং শিল্পাঞ্চল আসানসোল উপনির্বাচনে বড়সড় ভোটের ব্যবধানে জিতেছেন দুই প্রার্থী বাবুল সুপ্রিয় এবং শত্রুঘ্ন সিনহা। সকাল থেকে ফলাফলের ট্রেন্ড দেখেই স্পষ্ট হচ্ছিল ছবিটা। বেলা বাড়তেই টুইট করে দলীয় প্রার্থীদের জয় নিয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করলেন দলের সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। জোড়া জয়কে নববর্ষের উপহার বলে চিহ্নিত করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
দুই কেন্দ্রের দুই প্রার্থীর হয়ে প্রচারের ছবি টুইট করে অভিষেকের প্রতিক্রিয়া, ”বালিগঞ্জ, আসানসোলবাসীকে ধন্যবাদ আমাদের প্রার্থীদের এত ভালবাসা, সমর্থন দেওয়ার জন্য। এই ফলাফলে বিদ্বেষ বিরোধিতার পথে আরও একধাপ এগোল ভারত।”
সামগ্রিকভাবে ভোটের ফলাফল খানিকটা এরকম – বালিগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রে প্রথম স্থানে বাবুল সুপ্রিয়। দ্বিতীয় সিপিএম প্রার্থী সায়রা শাহ হালিম, তৃতীয় বিজেপির কেয়া ঘোষ। আসানসোল কেন্দ্রে লক্ষাধিক ভোটে জিতছেন ‘বিহারিবাবু’ শত্রুঘ্ন সিনহা। দ্বিতীয় স্থানে বিজেপির অগ্নিমিত্রা পল। এবং তৃতীয় সিপিএম প্রার্থী। গত ১২ তারিখ উপনির্বাচনের আগের সপ্তাহে শেষ প্রচারে নেমেছিলেন দলের ‘সেনাপতি’ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আসানসোলবাসীর কাছে তিনি আবেদন করেন, এবার তৃণমূলকে ক্ষমতায় ফেরান।
গত দু’বারের খরা কাটিয়ে আসানসোলে এবার প্রথম ঘাসফুল ফুটল। তাও আবার লক্ষাধিক ভোটের ব্যবধানে। তাতেই বেশি উচ্ছ্বসিত তৃণমূল শিবির। জয়ের জন্য দুই প্রার্থীই কৃতিত্ব দিয়েছেন দল এবং জনতাকে। শত্রুঘ্নর বক্তব্য, ”জনতার কথাই আমার কথা।” সবমিলিয়ে, পয়লা বৈশাখের পরদিনই দুই উপনির্বাচনে শাসকদলের এই জয়জয়কার প্রকৃত অর্থেই তৃণমূলের কাছে নববর্ষের উপহার হয়ে উঠল।
Be the first to comment